আরও পড়ুনঃ প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টার, মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ১০০!
তবে, বিজেপি শিবিরের থেকে এই বিধানসভা ছিনিয়ে আনতে শাসক দল পারে কিনা সেটাই দেখার৷ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সফরকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “প্রতিদিনই তো শুনি উনি সন্দেশখালি যাচ্ছেন। এখন সব শেষ এবার না হয় যান। গিয়ে বিজেপিকে কিছু খারাপ কথা বলে আসুন৷ তবে এটা সত্য লোকসভায় সন্দেশখালি বিধানসভা অঞ্চলে বিজেপির লিড আছে।” সন্দেশখালি কাণ্ড সেভাবে অক্সিজেন জোগাতে পারেনি বিরোধী বিজেপিকে। সন্দেশখালিতে ফোটে ঘাসফুল। বছর শেষে সেই সন্দেশখালিতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।সোমবার সন্দেশখালিতে প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই বৈঠক নিয়ে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসনে। সন্দেশখালির ঋষি অরবিন্দ মিশন মাঠে এই প্রশাসনিক বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
advertisement
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন সন্দেশখালিতে তিনি আসবেন। সন্দেশখালির মানুষের সঙ্গে মিলিত হবেন। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে সোমবার বেলা ১টা নাগাদ আকাশপথে সন্দেশখালি আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। জেলার উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরবেন। বাকি কাজের খোঁজও নেবেন তিনি। মঞ্চ থেকে সন্দেশখালি ১ এবং ২ নম্বর ব্লকের মানুষদের মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের ২০ হাজার উপভোক্তার হাতে সহায়তা পৌঁছে দেবেন তিনি। এই প্রশাসনিক বৈঠকের আগে নিরাপত্তার বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব নিরাপত্তা আধিকারিকরা। সরকারি বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে একটি প্রস্তুতি বৈঠকও হয়।
আরও পড়ুনঃ চিনির বদলে, দুধে নুন দিচ্ছেন? দুধ আর লবণ যোগে যা ঘটে…! জেনে-বুঝে খাচ্ছেন তো? নাহলেই…
মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, “এটি সরকারি অনুষ্ঠান। এখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি উন্নয়নমূলক বার্তাও দেবেন। সন্দেশখালি নিয়ে বিরোধীরা চক্রান্ত করেছিল। কিন্তু তৃণমূলের জয় আটকাতে পারেনি। সন্দেশখালির মানুষের সমস্যার কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জন্য বহু উন্নয়নমুখী কাজ করেছেন।” মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো অধিকাংশ কাজই সম্পন্ন হয়েছে। কিছু বাকি থাকলে তাও শীঘ্রই হয়ে যাবে বলে জানান দমকলমন্ত্রী। চলতি বছরের শুরুতেই সন্দেশখালি নিয়ে তীব্র বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল শাসক দলকে। বছর শেষে মুখ্যমন্ত্রীর সন্দেশখালি সফর ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।