পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক সভা শেষে হঠাৎই কয়েকজন প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। সেখানে লেখা ছিল, দিদি কিছু বলতে চাই। সভায় হঠাৎ এই নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। সকলেই জানতে চান, কারা এঁরা। ঘটনা চোখ এড়ায়নি মুখ্যমন্ত্রীরও। তবে সে নিয়ে মঞ্চে তেমন কিছু বলেননি। মঞ্চ থেকে নেমেই তাঁদের ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে।
advertisement
আরও পড়ুন Mukul Roy: স্পিকারের কাছে পাঠালেন ইস্তফাপত্র, হঠাৎ শোরগোল ফেলে দিলেন মুকুল রায়!
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর তাঁদের খোঁজ করতে থাকেন পুলিশকর্মীরা। তৎপরতা বাড়ে প্রশাসনের। প্রতিবাদীদের খুঁজে পেতে খোদ আসনে নামে জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। খোঁজ করতে দেখা যায় জেলার জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা শ্রিংলাকেও। শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকরা ওই প্রতিবাদীদের খুঁজে পাঠান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সেখানেই মেলে আশ্বাসবানী, যাতে খুশি প্রতিবাদীরা।
আরও পড়ুন: রাতে এল ফোন, সকালেই দিল্লি পৌঁছানোর নির্দেশ! সুকান্তকে নিয়ে বিজেপিতে শোরগোল
মুখ্যমন্ত্রী তাদের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্ল্যাকার্ড হাতে আসা সাথী বন্দ্যোপাধ্যায় ভট্টাচার্য্য, সোমা কর ও সুমনা দত্তরা। তাঁদের বক্তব্য, ২০১৪ সালে তারা টেট পাশ করা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থী। ২০১৭ সাল পর্যন্ত যার নিয়োগ হয়। ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন ২০ হাজার টেট পাশ করা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের নিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু ২০ হাজারের মধ্যে থেকেও আমরা এখনও চাকরি পাইনি। আমরা আন্দোলন করেছি, দিদির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছি, এত দিন দেখা করতে পারিনি।আমরা কয়েক হাজার এ রকম পরীক্ষার্থী আছি। আজকে দিদির সঙ্গে দেখা করলে দিদি জানান, কেউ না কেউ মামলা করার জন্য সমস্যা হচ্ছে। দিদির সঙ্গে কথা বলে আমরা ভরসা পেয়েছি।
শরদিন্দু ঘোষ