এরপরই শীতলকুচি কাণ্ডের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'শীতলকুচি কাণ্ডে তো এফআইআর হয়ে গেছে। এখন কী হবে। ফেঁসে গেছে তো, যাঁদের ফাঁসার ছিল। যে ইউনিট গুলি চালিয়েছে, তাঁরা তো ফেঁসে গেল। এবার?' প্রসঙ্গত, শীতলকুচির ঘটনার আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিশানা করছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ভোট দিতে আটকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে হবে। আর সেই কারণে প্রথম নির্বাচন কমিশনের নোটিশ ও পরে ২৪ ঘণ্টার জন্য মমতার নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন।
advertisement
যদিও মমতার দাবি, তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরোধী নন। বরং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যেভাবে ব্যবহার করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এবং তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে নরেন্দ্র মোদির, তিনি সেই নোংরা রাজনীতির বিরোধী। এদিনও তিনি তোপ দাগেন, 'করোনার কী পরিস্থিতি! বাংলায় কোভিড ছিল না। হাজার হাজার বহিরাগতকে ডেকে এনেছে বাংলায়। ওদের প্যান্ডেল করতে লোক আসে গুজরাত আসে, রান্নার লোক আসে দিল্লি থেকে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলছে, যাও গিয়ে গন্ডগোল বাধাও। লজ্জা করে না নরেন্দ্র মোদি, কোথায় করোনা সামলাবে, তা না, বাংলা দখল করতে ছুটে আসছে।'
বাহিনীর উদ্দেশে মমতার পরামর্শ, 'কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে আমাদের অনুরোধ আপনারা মোদীর কথায় চলবেন না। রাজধর্ম পালন করুন। আমি আপনাদের বিরোধী নই। মোদী তো মিথ্যেবাদী প্রধানমন্ত্রী, তাই ওকে সবাই জুমলা বলে। বিজেপি আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে, সামলাতে হচ্ছে আমাকে। আমরা সব কাজ করেছি বলেই, ভোট চাইছি।'
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মমতা বলেন, 'আমি রাজ্যের কোভিড নিয়ে চিন্তিত। আমার মন হাসপাতালে পড়ে আছে। কেন্দ্র আগে থেকে ভ্যাকসিন, ওষুধ দিলে এত বাড়ত না।'
