শেষ পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করে নিলেন, বাজি বিস্ফোরণের জেরে নিরীহ মানুষের প্রাণহানির জন্য দায়ী গোয়েন্দা ব্যর্থতা৷ খাদিকুল গ্রামের ঘটনার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী৷
গত ১৬ মে এগরার খাদিকুল গ্রামে ভয়াবহ বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে৷ মৃত্যু হয় ১১ জনের৷ এ দিন সেই খাদিকুল গ্রামে গিয়েই নিহত এবং আহতদের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য পুলিশে হোমগার্ডের চাকরির ঘোষণাও করেন তিনি৷
advertisement
এগরার পরে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বজবজেও কয়েকদিন আগে বাজি বিস্ফোরণের জেরে তিন জনের মৃত্যু হয়৷ মালদহের ইংরেজবাজারেও একই ধরনের ঘটনায় দু জন প্রাণ হারান৷
এ দিন খাদিকুল গ্রামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, কিছু মানুষ প্রশাসনের নজর এড়িয়ে নিজেদের মুনাফার স্বার্থে বেআইনি শব্দ বাজি তৈরি করে চলেছেন৷ এই ধরনের বাজি কারখানা নজরে এলেই তা পুলিশের নজরে আনার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ করেন তিনি৷ একই সঙ্গে গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথাও শোনা যায় তাঁর মুখে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্থানীয় মানুষকে বলব বেআইনি বাজি করাখানা দেখলে ওসিকে রিপোর্ট করবেন। ওসি অ্যাকশন না নিলে আমাকে বলবেন, আমি সরিয়ে দেব। উপরমহলে যাঁরা আছেন তাঁদের যদি ইন্টেলিজেন্স কাজ করত, এত বড় ঘটনা ঘটত না৷ আর যেন এরকম না হয়৷ কিছু দুষ্ট লোক যারা বেআইনি বাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে আমি ব্যাবস্থা নেব’
তবে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন নিজে গিয়ে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়ায় এবং চাকরির ঘোষণা করায় খুশি খাদিকুল গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত এবং আহতদের পরিজনেরা৷ এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে৷ আপনাদের কাছে মাথা নত করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি৷’