সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ওআরওপি বা রাহুল গান্ধির গ্রেফতার ইস্যু। নানান ইস্যুতে নিয়ম করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার জামবনিতেও তার ব্যতিক্রম হল না।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এদিনও টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বলেন, ‘মানুষের অসুবিধা করে কোনও কাজ করব না ৷ এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা ৷ আমাদের আয়ের সব টাকা কেটে নেয় দিল্লি ৷ ঋণ করেছিল বাম সরকার ৷ আমাদের যতই আর্থিক অনটন থাক ৷ মানুষের কাজ আমরা করেই যাব ৷’
advertisement
শুধু বিজেপি শাসিত সরকারকেই নয়, বিজেপি দলের উদ্দেশ্যেও আক্রমণ শানান নেত্রী ৷ ‘অসহিষ্ণুতা’ নিয়ে এদিন মোদীকে খোঁচা দিয়ে মমতা বলেন, ‘দেশজুড়ে একটা অসহিষ্ণুতার রাজনীতি চলছে ৷ বাংলায় এসব হয় না, বাংলায় অসহিষ্ণুতা নেই ৷ দাঙ্গাকে আমরা প্রশ্রয় দিই না ৷ বাংলায় দাঙ্গাকারীদের ক্ষমা নেই ৷ এরাজ্যে এসব চলবে না ৷ ছটপুজো নিয়ে একটা ঘটনা ঘটেছে ৷ আমরা তা সামলে নিয়েছি ৷’
শুধু কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেই ক্ষান্ত হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তৃণমূল কর্মীদের একাংশকেও সমঝে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। জামবনির প্রশাসনিক সভা থেকে তৃণমূল নেত্রীর হুঁশিয়ারি, ‘যারা মানুষের কাজ করতে পারেন না ৷ তাদের তৃণমূলে থাকতে হবে না ৷ আমি সারাবছর রাজনীতি করি না ৷ আমি ভোটের সময় রাজনীতি করি ৷ কারণ ভোটের জন্য মানুষের কাছে যেতে হয় ৷ যারা সরকারি কাজে রাজনীতি করছেন ৷ তাদের বলছি সংকীর্ণ রাজনীতি করবেন না ৷ মানুষের কাজে কোনও সংকীর্ণ রাজনীতি নেই ৷ আমি এজন্য তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করিনি ৷’
ঝাড়গ্রাম, আসানসোল ও কালিম্পং-কে আলাদা জেলা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাইকোর্টের নির্দেশ মিললে ওই তিনটি পৃথক জেলা হয়ে যাবে বলেই এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জঙ্গলমহলের কুর্মি সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, জঙ্গলমহলে বনকর্মী নিয়োগে স্থানীয়দেরই অগ্রাধিকার দেওয়ার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।