ইতিমধ্যে প্রায় ২০ টি বাড়ি নদীর একেবারে ধারে এসে পৌঁছেছে। যেকোনও সময়ে সেগুলি নদীর গ্রাসে যেতে পারে, আশঙ্কা স্থানীয়দের। গোপীবল্লভপুর-দুই নম্বর ব্লকের মালিঞ্চা গ্রামে সুবর্ণরেখা নদীর পাড়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা সরকার পদক্ষেপ না নিলে নদীতে তলিয়ে যাবে গোটা গ্ৰাম।
আরও পড়ুন: অন্য রাজ্য থেকে এসে বাংলায় ঘটিয়েছিল ‘কাণ্ড’! ডায়মন্ড হারবারে মারাত্মক ঘটনা, শেষরক্ষা হল না
advertisement
জলের তলায় চলে গিয়েছে বিঘের পর বিঘে কৃষিজমি ও বসতবাড়ি। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। আস্ত খেলার মাঠ ও গ্রামের বড় আমবাগান, একটি ক্লাব ঘর সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। ধসে পড়েছে বিদ্যুৎ খুঁটি। সুবর্ণরেখার গ্রাসে বিপন্ন ঝাড়গ্রামের মালিঞ্চা গ্রাম, দ্রুত পাড় বাঁধানোর দাবি জানাচ্ছেন গ্ৰামবাসীরা। নদী ভাঙন নিয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলিতে সমীক্ষায় ও চালিয়েছে রাজ্য সেচ দফতর।
আরও পড়ুন: নিজের গয়না বেচে দরিদ্রদের মুখে ভাত তুলে দিচ্ছেন, কুর্ণিশ কাটোয়ার কাজুলীকে
সম্প্রতি রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া এই এলাকায় পরিদর্শনে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষার আগে প্রশাসনের তরফে ভাঙ্গন প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবে কোনও কাজ শুরু হয়নি। তবে এবারে মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে আশায় দিন গুনছেন বাসিন্দারা। দ্রুত পদক্ষেপের দাবি, গ্রামবাসীরা এখন একযোগে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছেন, অবিলম্বে নদীর পাড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
এই মুহূর্তে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ছাড়া গ্রামের বসবাসকারীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তবে অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের ডিভিসি থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গা থেকে জল ছাড়ার পরে আতঙ্ক আরও বাড়ছে। নদীর জল যত বাড়ছে ততই বাড়ছে নদীর পাড় ভাঙ্গন। ক্রমশই গ্রামের দিকে এগিয়েছে আসছে নদী। এক দিকে নিম্নচাপের ভারী বৃষ্টি অন্যদিকে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খন্ড, ওড়িশা থেকে জল ছাড়ার কারণে জল বাড়ছে নদীর গুলিতে ফলে ব্যাপক হারে নদীর পাড় ভেঙেছে।