জানা যাচ্ছে, জখম টোটো চালকের নাম ইউনূস আলি (৩৫)। তাঁর বাড়ি সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেশপুর গ্রামে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এদিন ভোরে টোটো চালক একযাত্রীকে সামসি স্টেশনে নামিয়ে ফিরছিলেন। রাস্তার ধারে টোটো দাঁড় করিয়ে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন ইউনূস। অভিযোগ, সেই সময় সামসি ফাড়ির পুলিশ কর্মীদের একটি গাড়ি ওই এলাকায় এসে দাঁড়ায়। পুলিশের গাড়ি থেকে এক এএসআই নেমে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা টোটোটি কার তা জানতে চান। টোটো চালক ইউনূস এগিয়ে এসে পরিচয় দিতেই তাকে ব্যাপকভাবে মারধর করেন ওই পুলিশ কর্মী। স্থানীয়রাই তাকে উদ্ধার করে সামসি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বাড়ির সামনে খেলছিল কিশোর, আচমকা ঝাঁপিয়ে পড়ল…! চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে এলেও শেষরক্ষা হল না
এই ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন এলাকার টোটো চালকেরা। টোটো বন্ধ রেখে সামসি-চাঁচল জাতীয় সড়ক অবরোধ করে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। এর ফলে জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। দীর্ঘক্ষণ চলে অবরোধ আন্দোলন। পরে বাড়তি পুলিশ বাহিনী এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। পুলিশের তরফে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আগামিকাল ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন টোটো চালকরা।