কৃষকদের অভিযোগ, কয়েক প্রজন্ম ধরে তাঁরা সীমান্তের জমিতে চাষাবাদ করছেন। প্রতি বছরই বর্ষার মরশুমে প্লাবিত হয় গঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকার জমি। আবার নদীর জল কমে গেলে দুই রাজ্যের কৃষকরা নিজেদের জমি মাপজোখ করে নিজেদের অংশে চাষবাস শুরু করেন। কিন্তু অভিযোগ, এ বার ঝাড়খণ্ড সীমান্তে নিজেদের জমিতে চাষে বাধা পাচ্ছেন এ রাজ্যের কৃষকেরা। চাষের জমি অবৈধভাবে জবর দখলের চেষ্টা হচ্ছে ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীদের মাধ্যমে। এমনটাই অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের।
advertisement
আরও পড়ুন : শুধু কাঁচকলাই নয়! কলার সঙ্গে এই খাবারগুলি খেলেও ভয়ঙ্কর বিপদ! জানুন এখনই
অবিলম্বে জমির সুরক্ষার দাবি তুলেছেন তাঁরা।মালদহের মানিকচক ব্লকে বেশকিছু এলাকা ঝাড়খন্ড তীরবর্তী। এইসব এলাকায় কৃষিজমি অত্যন্ত উর্বর। অভিযোগ, উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় ওই জমিতে নজর থাকে ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীদের। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে মালদহের মানিকচকের বা এরাজ্যের কৃষকদের ওই জমিতে চাষবাস করতে হলে নদী পেরিয়ে পৌঁছতে হয়। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের কৃষকেরা সহজেই ওই জমির নাগালের মধ্যে পেয়ে যান। এরই সুযোগ নিয়ে এ বার সীমান্তে কয়েকশো বিঘা জমির চাষে বাধা দেওয়া হচ্ছে এরাজ্যের কৃষকদের। আরও অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীদের সঙ্গে এরাজ্যের দুষ্কৃতীদের একাংশ জমির জবরদখলে যুক্ত।
অভিযোগ, এ বছর এখনও এ রাজ্যের কৃষকদের জমিতে চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে জমিতে গেলে মিলছে প্রাণনাশের হুমকি। এই পরিস্থিতিতে নিজেরা একত্রিত হয়ে মানিকচক থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন কৃষকেরা। পুলিশ কর্তৃপক্ষের হাতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেন তাঁরা। মানিকচক দিয়ারা কৃষক সমিতির সম্পাদক নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘‘ প্রশাসনিক সাহায্য ছাড়া ওই জমিতে নির্বিঘ্নে চাষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কারণেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। এরসঙ্গে রাজ্যের স্বার্থও জড়িত রয়েছে।’’ তাঁদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন।