মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ব্লকের জজান গ্রামের মালাকার পরিবার এখন ব্যস্ত পুজোর সাজ তৈরি করতে। দেবী দশভুজা কে সাজাতে লাগে বিভিন্ন রকমের সোলার কাজ। জজান গ্রামের জর্নাদান মালাকার ও ঝর্না মালাকার এখন দুর্গাপূজো সাজ তৈরি করতে ব্যস্ত। দুর্গাপূজো সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার আসে এই শোলা কাজের। ডাকের সাজে দেবী মুর্তির সাজে ছোঁয়া দিতে এখন নাওয়া খাওয়া ভুলে কাজে ব্যস্ত শিল্পী জর্নাদান মালাকার। পুজোর সময় এখন চুরান্ত প্রস্তুতি চলছে সাজ তৈরি করার জন্য।
advertisement
আরও পড়ুনঃ উৎসবে ফেরা নয়, বরং আড়ম্বরহীন পুজোর মাধ্যমেই প্রতিবাদ এই পুজো কমিটির
এই ডাকের সাজ সাত পুরুষ ধরে করে আসছেন পরিবারের সদস্যরা, শুধু কান্দি মহকুমা নয় জেলার বিভিন্ন জায়গা তেই এই তার হাতের তৈরি এই সোলার তৈরি সাজ পাঠানো হয়। তবে কাজের তুলনায় বাজারে মুল্য পাওয়া যাই না বড্ড আক্ষেপ যদিও বর্তমানে জিনিস দাম বৃদ্ধি কারনে এই কাজে বেশি দাম পাচ্ছেন না ফলে কাজ করেও বেশি লাভবান হচ্ছেন না বলে দাবি। তবে এই প্রজন্ম করলেও আগামী যুব সমাজ এই শোলা ডাকের সাজে এগিয়ে আসছেন না বলে আক্ষেপ আরো বেশি। যদিও শুধু দুর্গাপূজো নয় কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী এবং সরস্বতী পূজো তেও এই ডাকের সাজ তৈরি করেন। তবে দুর্গাপূজো সময় দেবী দশভুজা কে সাজাতে নবরুপ দিতে তাদের ছোয়া যে অনবদ্য, তাই এখন চুরান্ত ব্যস্ততা তাদের। প্রতিমার তৈরি সাজের দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৮-১০ হাজার টাকা বা তারও বেশি হয়ে থাকে। তবে কম দামের সাজের বেশি চাহিদা। ফলে চাহিদা থাকে তুঙ্গে।
কৌশিক অধিকারী





