মহারাজার আমলে রাজবাড়িতে ঘুড়ি তৈরি করা হত। এরপর থেকে পৌষ সংক্রান্তিতে ঘুড়ির মেলা হয়ে আসছে বর্ধমানে। ঐতিহাসিকদের মতে, বর্ধমান মহারাজা মহাতপচাঁদের আমলে দেশ-বিদেশ থেকে নানা রঙের, নানা আকারের ঘুড়ি আনাতেন মহতাবচাঁদ।রাজবাড়িতে ঘুড়ি তৈরি করে আকাশে ওড়াতেন রাজপুরুষরা। রাজকীয় ঘুড়ির ছড়াছড়ি হত আকাশে। ঘুড়ি ওড়াতেন মহতাবচাঁদ নিজেও। আমন্ত্রণ জানানো হত বন্ধু রাজা,জমিদারদের। রাজবাড়ির ছাদে উড়ত ঘুড়ি। চলত খানাপিনা। সেই থেকেই পৌষ সংক্রান্তিতে ঘুড়ির মেলা হয়ে আসছে এই শহরে।
advertisement
আরও পড়ুন : কোন ভিটামিনের অভাবে মাইগ্রেন হয়? কী খেলে এর অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন? জানুন
প্রতিবারই সকলের চিন্তা থাকে হাওয়া থাকবে কিনা তা নিয়ে। হাওয়া না থাকলে ঘুড়ি ওড়ানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আনন্দ মাটি হয়ে যায়। তবে এবার নিরাশ করেনি প্রকৃতি। সকাল থেকেই ছিল উত্তুরে হাওয়ার দাপট। তার ফলে এদিন আকাশে অনেক ঘুড়ি দেখা গিয়েছে। পৌষ সংক্রান্তিকে এই শহরে ঘুড়ির মেলা হলেও পরের দিনও তার রেশ থেকে যায়। বুধবারও ঘুড়ি উড়বে এই শহরে। এছাড়া বুধবার রয়েছে বর্ধমানের দামোদরের তীরে সদরঘাটের মেলা। মাঘ মাসের প্রথম দিন এই মেলা বসে। দশকের পর দশক ধরে এই মেলা চলে আসছে। এই মেলাতেও প্রচুর ঘুড়ি ওড়ে। এছাড়া এই মেলা শাঁখালুর জন্য বিখ্যাত। কুইন্টাল কুইন্টাল শাঁখালু বিক্রি হয় এদিন। এছাড়াও থাকে বাদামভাজা, পাঁপড়ভাজা, শালপাতার বাটিতে ঘুঘনি, জিলিপি খাওয়ার মজা। এই মেলায় মুরগির লড়াই চলে আজও। এই মেলাতেও যোগ দেন বর্ধমান শহরের অনেকেই। মেলা উপলক্ষে সদরঘাট ব্রিজ বাস ও অন্যান্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।