পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর, মেমারি, কালনা মহকুমায় ব্যাপকভাবে আলু চাষ হয়। বেশিরভাগ জমিতেই আলু বসানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে সব জমির আলু বীজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেই মনে করছেন কৃষকরা। তাই তাঁরা ফের নতুন করে আলু বীজ কিনতে চাইছেন। কিন্তু আলু বীজের দাম তাঁদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। তাঁরা বলছেন, ধারদেনা করে আলু বসানো হয়েছিল। নতুন করে আবার বীজ কেনার টাকা কোথায় মিলবে? তাছাড়া, এতো দাম দিয়ে আলু বীজ কিনে অনেকেরই চাষ করার সঙ্গতি নেই।
advertisement
জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর ৬৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে আলু লাগানো হয়ে গিয়েছিল ৫১,২৮৯ হেক্টর জমিতে। কৃষি দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিম্নচাপের জেরে এই জেলায় ৪৬ হাজার ১১৭ হেক্টর আলুর জমি জমিতে জল ঢুকে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। চাষিদের দাবি, নিচু জমির একশো শতাংশ বীজই নষ্ট হয়ে যাবে। আর উঁচু জমির ক্ষেত্রে বীজ নষ্টের সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ। ফলে সেখানে দ্বিতীয় বার আলু বসাতে হবে। এ ছাড়াও পড়ে থাকা ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বীজ পুঁততে হবে। সবমিলিয়ে বিপুল পরিমাণ বীজ-আলু প্রয়োজন। সেই সুযোগই নিচ্ছেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। কেউ কেউ আবার পাঞ্জাবের বস্তায় স্হানীয় আলু বীজ ভরে তা চড়া দামে বিক্রি করছেন। প্রশাসনের উচিত আলু চাষের স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা।
জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) নকুলচন্দ্র মাইতি বলেন, আমাদের নজরে রয়েছে। সরাসরি কালোবাজারির অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।