এ রাজ্যের মধ্যে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মেমারি, জামালপুর, শক্তিগড়, কালনায় ব্যাপক ভাবে জলদি জাতের আলু চাষ হয়। সেই আলু বসানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেই সব আলু চাষের জমি এখন জলের তলায়। পুরো চাষ নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চলতি মরশুমে পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।ইতিমধ্যেই প্রায় ৩২ থেকে ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে চালু চাষ শুরু হয়ে গিয়েছে। নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে তার অধিকাংশ জমিই জলমগ্ন।ফলে চাষের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: সাইক্লোন জাওয়াদে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, ঘুম ছুটছে চাষীদের, তারপর...
এমনিতেই প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় ধান চাষে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে চাষিদের। তারপর আবার চড়া দামে সার ও বীজ কিনে আলু চাষ শুরু করতেই নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে জমি জলমগ্ন হয়ে পড়ায় মাথায় হাত কৃষকদের।ধানের পর এবার আলু চাষেও তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়লেন বলে আশঙ্কা করছেন।
আলুর পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ধানেরও। অনেক জমিতেই দেরিতে ধান রোপন করা হয়েছিল। সেই সব জমিতে ধান কাটা বাকি ছিল। আবার অনেক ধান কেটে মাঠে ফেলে রাখা হয়েছিল। সেসব ধানের কিছুই আর আদায় হবে না বলেই জানাচ্ছেন কৃষকরা। তাঁরা বলছেন, এমনিতেই শোষক ও মাজরা পোকা ব্যাপক ক্ষতি করেছে পাকা ধানের। যেটুকু অবশিষ্ট ছিল তাও এই নিম্নচাপের বৃষ্টিতে শেষ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: দিঘায় উত্তাল সমুদ্র! জাওয়াদের জেরে সমুদ্র উথাল পাতাল, দেখুন...
সোমবার বৃষ্টির মাত্রা একটু কমতেই ক্ষতি পরিমাণ জানতে বিভিন্ন ব্লকে পরিদর্শনে যান জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সভাধিপতি শম্পা ধাড়া,কৃষি কর্মাধক্ষ মহম্মদ ইসমাইল, বিধায়ক অলোক মাজি ও কৃষি আধিকারিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জমিতে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেন।
সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানান, কয়েকটি ব্লকে আলু ও ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে। জেলার সামগ্রিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের পর সেই রিপোর্ট নবান্নে পাঠানো হবে। কৃষকদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে দেখছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা৷