রথযাত্রার প্রসঙ্গ উঠে এলেই যেমন আসে পুরী ও মাহেশের রথ, ঠিক তেমনই আসে মহিষাদলের রথ। রাজবাড়ির এই রথযাত্রার সাধারণ মানুষের কাছে এক আবেগের নাম। প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মহিষাদলের রথযাত্রা রাজবাড়ির পাশাপাশি মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির পরিচালনা করেন। ১৩ চূড়া বিশিষ্ট কাঠের রথে রয়েছে ৩৪ টি চাকা। ১৮৫১ সালে রাজা লক্ষ্মণপ্রসাদ গর্গ রথ সংস্কারের সময় ১৩ চূড়া বিশিষ্ট রথ করেন। সেই থেকেই এই রথ ১৩ চূড়ার। মহিষাদল রাজবাড়ির রথের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এই রথে রাজবাড়ির কুলদেবতা গোপাল জীউ রথে চড়ে বসেন। মন্দির থেকে পালকিতে করে রথে আসেন কুলদেবতা।
advertisement
প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রথ বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়েছে। সেই রথ সংস্কারের জন্য মহিষাদলবাসী-সহ মহিষাদলের বিধায়কের দীর্ঘদিনের আবেদন ছিল। এবার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে মহিষাদলের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মহিষাদলের রথ হেরিটেজের অধীনে নিয়ে এসে সংস্কার করা হবে। মহিষাদলের প্রাচীন রথ সংস্কারের জন্য কতটাকা খরচ হবে তার ডিপিআর তৈরির জন্য জেলাশাসকের দফতরে নির্দেশিকা পাঠান হয়েছে। জেলাশাসকের পাশাপাশি মহিষাদলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তীর কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে ওয়েস্টবেঙ্গল হেরিটেজ কমিশন। মহিষাদলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী জানান, ” মহিষাদলের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী প্রায় আড়াইশো বছরের মহিষাদলের রথ সংস্কারের জন্য হেরিটেজ কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। সেই আবেদনে সাড়া মিলেছে। জেলাশাসককে দ্রুত ডিপিআর বানিয়ে পাঠানোর কথা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।।সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর নতুন রূপে সেজে উঠবে মহিষাদলের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রথ।” প্রসঙ্গত মহিষাদল রাজবাড়ি আগেই রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার সেই রাজবাড়ির রথ হেরিটেজ স্বীকৃতি পেতে চলেছে।