রাস্তার ধারে অগণিত দর্শনার্থীরা প্রাণবন্ত এই শোভাযাত্রাটি প্রত্যক্ষ করেন। হুগলির শ্রীরামপুরের জগন্নাথ দেব ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী এবং সভাপতি অসীম পন্ডিত জানান, স্বয়ং মহাপ্রভু চৈতন্যদেব মাহেশে এসে মাহেশকে নব নীলাচল নামে ভূষিত করেন, রথের দিন চৈতন্যদেব তার দ্বাদশ গোপালদের নিয়ে রথের চারপাশে হরিনাম সংকীর্তন করেছিলেন। আর এই দ্বাদশ গোপালের অন্যতম হলেন ঠাকুর কমলাকার পিপলাই, তিনি ছিলেন চৈতন্যদেবের অন্তরঙ্গ পার্ষদ, যখন মাহেশ জগন্নাথ দেবের প্রতিষ্ঠাতা ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ৬২৯ বছরের পুরাতন, শ্রীরামপুর মাহেশের রথযাত্রা ঘিরে উৎসবের মেজাজ!
সেই সময় তিনি চৈতন্য মহাপ্রভুকে বলেছিলেন আপনি এমন একজনকে এখানে দিন যিনি পরবর্তীকালে মাহেশের জগন্নাথ দেবের আরাধনার ভার নেবেন, তখন মহাপ্রভু চৈতন্যদেব কমলাকর পিপলাইকে প্রভু জগন্নাথ দেবের সেবার ভার দিয়েছিলেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রবিবার সন্ধ্যায় এই দ্বাদশ গোপাল উৎসব দেখতে দূর দুরন্তের মানুষজন মাহেশের জগন্নাথ দেবের মন্দিরে হাজির ছিলেন। ভক্ত সমাগমের মধ্যে দিয়ে মহাসামরহে পালিত হয় দ্বাদশ গোপাল উৎসব। শ্রীচৈতন্যদেবের মূর্তি নিয়ে তারা নগর পরিক্রমা করেন। মাহেশ জগন্নাথ মন্দির থেকে মহেশ মাসির বাড়ি মন্দির চত্বর মুখরিত হয়ে উঠেছিল এই দিন সন্ধ্যায় দ্বাদশ গোপাল উৎসব উপলক্ষে।
রাহী হালদার