সকাল থেকেই অনেকে আসছেন। মুখে মাস্ক পড়ে, স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে রথের চাকায় মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম সেরেছেন। মন্দির অবধি পৌছে গেছেন। ফলে সকাল থেকে মুল মন্দিরে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। জগন্নাথ মন্দিরের মধ্যেই অস্থায়ী ভাবে তৈরি হয়েছে মাসির বাড়ি। মন্দিরের মধ্যে যে অস্থায়ী ভোগ ঘর রয়েছে তাতে রত্ন বেদী বানানো হয়েছে। আগামী ৮ দিন সেখানেই থাকবেন জগন্নাথ-বলরাম-সুভ্রদা। যাবতীয় পুজো আচার অনুষ্ঠান সেখানে থেকেই সম্পন্ন হবে। ফলে রথ যাত্রা উপলক্ষে যারা মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন তাদের এখানেই পুজো দিতে হবে।
advertisement
২৫ জন করে ভক্তকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। সকাল ৮টার আগে অবধি কয়েক হাজার ভক্ত মন্দিরে আসেন। লাইন করে ভক্তদের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। তার পর বন্ধ করে দেওয়া হয় মুল ফটক। বিগ্রহ বার করে নিয়ে আসা হয় মুল মন্দিরের চাতালে। সেখানেই পুজো হয়। এই পুজোর ক্ষেত্রে চন্দন পুজো তারপর ভোগ নিবেদন করা হয়। এই ভোগের ক্ষেত্রে পুরোটাই নিরামিষ ভোগ এবং এক পাকের ভোগ। বালিগঞ্জ থেকে পুজো দিতে এসেছিলেন সুচন্দ্রিমা বন্দোপাধ্যায়। তিনি জানান, "মাহেশের রথ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন রথ। প্রতি বছর এখানে পুজো দিতে আসি৷ এবার বেশ কিছু নিয়ম কানুন আছে জানি। ভিড় এড়াতে তাই সকাল বেলা এসে পুজো দিয়ে গেলাম।" যদিও সময় যত গড়িয়েছে এই বিশেষ দিনে ভক্তদের আসা আটকানো সম্ভব হয়নি। মন্দিরের প্রধান সেবাইত পিয়াল অধিকারি জানিয়েছেন, "বিশেষ দিনে জগন্নাথ দেবের কাছে আসা তো আটকানো যাবে না। তবে আমরা নিয়ম মেনেই পুজো পাঠের অনুষ্ঠান করছি।"