তবুও রেডিওর মাধ্যমে শোনার একটা আলাদা অনুভূতি ও স্মৃতি জড়িয়ে আছে অনেক বাঙালির সঙ্গে। মহালয়ার ভোরে রেডিওতে মহিষাসুরমর্দিনী শোনা একটি বিশেষ আবেগ ও স্মৃতির সঙ্গে যুক্ত। যা অনেক বাঙালির কাছে আজও অমূল্য। এ কারণে কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা এখনও মহালয়ার সময় বীরেন্দ্র কৃষ্ণের ভদ্রের চন্ডীপাঠ রেডিওতে শুনতেই পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন : ঘাপটি মেরে বসেছিল বিপদ, পোলট্রি ফার্মের সামনে বিশাল অজগর! দেখেই আত্মারাম খাঁচাছাড়া
advertisement
যে কারণে সারাবছর রেডিওর দোকানের সামনে ভিড় না থাকলেও, এই সময় ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়ে যায়। এক রেডিও কারিগর জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর আগে মহালয়ার অনেক আগে থেকে দোকানে রেডিও ঠিক করার জন্য লাইন পড়ে যেত। সারারাত জেগে রেডিও ঠিক করতে হত। এমনও কিছু সময় গিয়েছে, যখন রেডিও ঠিক করতে করতে ভোর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন সবার হাতে স্মার্টফোন আসার ফলে কদর কমেছে রেডিওর।
আরও পড়ুন : মহালয়ার দিনেই ট্রেন বাতিলের ধাক্কা! ঘুরপথে বন্দেভারত, যাত্রীদের দুর্ভোগ! লিস্ট দেখে নিন
কিন্তু রেডিও বিক্রি বা মেরামতের সঙ্গে মানুষজন বলছেন, এখনও কিছু পরিবার আছে, যারা রেডিওতে মহালয়া শুনতে ভালবাসে। তাই মহালয়ার আগে বেশ কিছু রেডিও মেরামত করার জন্য এসেছে। তাঁদের কথায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রেডিওর কদর কমে যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু এখনও পর্যন্ত ডিজিটালের এই যুগ সম্পূর্ণভাবে ছিনিয়ে নিতে পারেনি রেডিওকে।