স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার সালকিয়া থেকে ৬০ জনের একটি দল গিয়েছিল প্রয়াগরাজের মহা কুম্ভে পুন্যস্নানে। সেখানেই ২৯ জানুয়ারি স্নান করতে নামেন ভোলা পান্ডে এবং তাঁর স্ত্রী। হুড়োহুড়িতে স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। পুলিশের সাহায্যে ভোলা পান্ডের স্ত্রী সংগঠনের কাছে ফিরতে পারলেও, তার পর থেকেই নিখোঁজ ভোলা পান্ডে।
advertisement
এরপর মালিপাঁচঘরা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও কোনও সাহায্য ভোলা পান্ডের স্ত্রী কোনও সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশ সরকারের help line-এ ফোন করে অভিযোগ লেখানো হয়, দাবি ছেলের।
এদিকে, মহাকুম্ভে স্নানে গিয়ে মৃত্যু মালদহের স্কুল শিক্ষকের। ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু, দাবি পরিবারের। মৃতের নাম অমিয় সাহা, বয়স মাত্র ৩৩ বছর। বৈষ্ণবনগরের বীরনগর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চড়বাবুপুর এলাকার বাসিন্দা।
কার্তিকটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমিয়। পরিবার ও আত্মীয়দের দশজনের দলের সঙ্গে মহাকুম্ভে স্নানে যান তিনি। ভিড়ের চাপে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। শুক্রবার দেহ ফিরেছে মালদহের বাড়িতে। শোকের ছায়া গ্রামজুড়ে। পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এলাকায় যান বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার। মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন সহযাত্রীরা। শিক্ষকের মৃত্যুতে যোগী সরকারের ব্যর্থতাকে নিশানা তৃণমূল বিধায়কের।