কীভাবে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল? চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক । এই প্রসঙ্গে উৎসব কমিটির সম্পাদক শিবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘১৯৭২ সালে এলাকায় পুকুর খোঁড়ার জন্য মাটি কাটার কাজ চলছিল। সেই সময় হঠাৎই পাথরের গায়ে আঘাত লাগে গাঁইতির। কৌতূহল বাড়ে শ্রমিকদের। ধীরে ধীরে খোঁড়া হয় আশপাশ। তখনই মাটির নীচ থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসে বিশালাকার গৌরীপট্ট-সহ এই শিবলিঙ্গ। পরে ক্রেনে করে তুলে পাশে স্থাপন করা হয় শিবলিঙ্গটিকে। শুক্রবার রাত্রি ১১ টা বেজে গেলেও কিন্তু ভক্তের সংখ্যা কোনও অংশে কম ছিলনা এই মন্দির প্রাঙ্গণে। বহু ভক্তকে পুজোর ডালি নিয়ে পুজো দিতে এবং জল ঢালতেও দেখা যায়। এই প্রসঙ্গে দীপক নামের এক ব্যক্তি বলেন, তিনি প্রত্যেক বছর এই মন্দিরে জল ঢালার জন্য উপস্থিত হন। সকাল থেকে তিনি উপোস করে রয়েছেন শুধুমাত্র এই মন্দিরে পুজো দেবেন এবং জল ঢালবেন বলে।
advertisement
আরও পড়ুন : নদিয়ায় চূর্ণী নদীর পাশে শিবনিবাসের প্রাচীন মন্দিরে সমারোহে পালিত মহাশিবরাত্রি
পূর্ব বর্ধমান জেলা তথা বর্ধমান শহর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু মন্দির । এই শহরে রয়েছে বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলার মন্দির। এছাড়াও রয়েছে নানান প্রসিদ্ধ কালী মন্দিরও। আবার এই শহরেই রয়েছে রাজ আমলে প্রতিষ্ঠিত একশো আট শিবমন্দির। তেমনই রয়েছে বর্ধমানের আলামগঞ্জের ‘মোটা শিব’ বা ‘বুড়ো শিব’ এর মন্দির।
এই শিবলিঙ্গ ঠিক কত বছরের প্রাচীন তা নিয়ে প্রামাণ্য কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। অনেকের মতে, এই শিবলিঙ্গ কণিষ্কের সময়ে। অর্থাৎ প্রায় ১৬০০ -১৭০০ বছর আগের। কণিষ্ক নিজে এই কালো শিবলিঙ্গে নিয়মিত পুজো করতেন বলেও মনে করেন অনেকে। জানা যায় শিবরাত্রি উপলক্ষে মন্দির চত্বরে পাঁচদিন ধরে চলে মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।