আসলে তমশ্রীর জন্মের পর থেকেই পরিবারে নেমে আসে হতাশার ছায়া। শৈশবে তেমন কিছু বোঝা না গেলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়ের তমশ্রীর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা প্রকট হয়ে ওঠে। মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন বাবা-মা। নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের অমরাবতী গ্রামে বাস মণ্ডল পরিবারের।
ছোট থেকেই মেয়েকে বড় করছেন মা মামণি মণ্ডল। বয়স বাড়লেও দৈহিক বৃদ্ধি না হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। মেয়েকে দিনের অধিকাংশ সময় শুয়েই কাটাতে হয়েছে। চিকিৎসায় কোনও লাভ হয়নি। এখন উচ্চতা আড়াই ফুট।
advertisement
তমশ্রী নারায়ণীতলা ধনেশ্বর শিক্ষা সদনের ছাত্রী। প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে স্কুলের ইংরেজি শিক্ষকের মোটরসাইকেলে চেপে পরীক্ষা দিতে আসে সে। পরে মায়ের কোলে চেপে পরীক্ষাকেন্দ্রে যায়।
আরও পড়ুন : ওষুধ, ইসবগুল বাদ দিন! আদা-লেবুর রসের ডোজেই গলগলিয়ে বেরবে পেটের নোংরা! রইল কোষ্ঠকাঠিন্যের ঘরোয়া টোটকা
এ নিয়ে তমশ্রী জানিয়েছে, ‘আপাতত পড়াশুনা চালিয়ে যেতে চাই। মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার পরে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। মায়ের বয়স হচ্ছে কে আর এভাবে কোলে করে স্কুলে নিয়ে যাবে। জানি না শেষ মতো পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারব কিনা। তবে ভবিষ্যতে কিছু একটা করার ইচ্ছা রয়েছে।”