হ্যাঁ প্রতিদিন সকালে কোলন্দার এই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সকালে বাড়ি বাড়ি পেপার বিক্রি করে। আর তাতে যা আয় হয় সেই দিয়েই চলে সংসার। তাই প্রতিদিন সকালে পেপার বিক্রি,তারপর বাড়িতে পড়াশুনা আর তারপরেই স্কুল। সেরকম ভাল ভাবে টিউশান পড়ার অর্থটুকুও নেই। কারণ পুরো সংসারের হাল তার হাতে। বাড়িতে বাবা,মা,বোন আছে। তাই এই ভাবেই বছরের পর বছর কাটিয়ে আসছে দেবাঞ্জন। একটি দূর্ঘটনার পর বাবা চোখে দেখতে পান না, তার প্রতিবন্দ্বি ভাতা এবং মায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা কিছুটা হলেও সংসারের উপকারে লাগে।
advertisement
মাধ্যমিকের পর আগামী দিনে সায়েন্স নিয়ে পড়তে চায় এই অভাবি দেবাঞ্জন। বর্তমানে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন দশগ্রাম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক যুগল প্রধান। মাঝে আর কটা দিন পর মাধ্যমিক। ভাল রেজাল্ট করতে যায় দেবাঞ্জন। কিন্তু অভাব কিছুতেই তার পেছন ছাড়ে না। এ মত অবস্থায় দেবাঞ্জন কীভাবে তার পরিবার এবং নিজের স্বপ্নকে সফল করবে সবং জুড়ে এখন সেই প্রশ্নটাই ঘুরে বেড়াচ্ছে!
Digbijoy Mahali