পরের দিনের পরীক্ষার জন্য ইউনিফর্মটাও গুছিয়ে রেখেছিল। এরপর থালায় ভাত বেড়ে অপেক্ষা করছিল ছাত্রীর নানি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাওয়া গেল না ওই ছাত্রীর। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর বাড়িতে ঘটে গেল চরম কাণ্ড।
আরও পড়ুন: ‘মাধ্যমিক’ শব্দের অর্থ কী জানেন? রইল ৪ অপশন, বলতে পারলে আপনি জিনিয়াস
advertisement
ওই ছাত্রীর মা নেই। নানির কাছেই থাকত সে। পড়াশোনাতেও আগ্রহ ছিল প্রবল। কিন্তু দ্বিতীয় পরীক্ষাটা আর দেওয়া হল না তার। সোমবার ছিল মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষা। বাড়ি ফিরে হাসিখুশি ছিল সে। তার আত্মীয়রা বলছেন, খাওয়ার আগেই একটা ফোন আসে। ঘরের মধ্যে গিয়ে কথা বলছিল। তার কিছুক্ষণ পরই উদ্ধার হয় তার ঝুলন্ত দেহ। গোটা ঘটনায় হতবাক গোটা পরিবার।
জানা গিয়েছে, মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা বলছেন, সে মামারবাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করত। মেধাবীও ছিল সে। তবে সম্প্রতি প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। সে নানাভাবে উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। এমনকী অনেক সময় হুমকিও দেওয়া হত! সোমবার দুপুরেও ওই যুবকের ফোন এসেছিল বলে দাবি পরিবারের।
ছাত্রীর নানি জানিয়েছেন, তিনি বাইরে ভাত বেড়ে অপেক্ষা করছিলেন। শুধু শুনতে পেয়েছিলেন, নাতনি ফোনে কাউকে বলছে, এই পরীক্ষার কয়েকদিন আমাকে বিরক্ত করো না। এরপর সাড়া না পেয়ে ডাকতে গিয়ে দরজা খুলেই দেখেন ঝুলন্ত দেহ। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে পরিবার। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়েছে।