কারও কাছে মোবাইল থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। স্মার্ট ঘড়ি ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ব্যাগ, বক্স বা অন্য সামগ্রীরাখার জন্য ভেনুতে আলাদা একটি রুম থাকবে। প্যারাটিচার, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা পরীক্ষা হলে ডিউটি করতে পারবেন না। তাঁদের অন্য কাজে লাগানো হবে।
জেলা মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শক অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রতিটি সেন্টারে তিনটি করে সিসি ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একটি ক্যামেরা পরীক্ষার হলে থাকবে। একটি ক্যামেরা বসানো হবে প্রধান শিক্ষকের রুমে। অন্য ক্যামেরাটি মেন করিডরে বসানো থাকবে। প্রতিটি ভেনুতেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমবে।
advertisement
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রের চারপাশে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না। কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে ঢুকতে হলে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে।
এবছর অভিভাবকদেরও হলে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। আগের মতো তাঁরা কেন্দ্রে ঢুকে পরীক্ষার্থীদের সিট দেখিয়ে দিতে পারবেন না। এবার কেন্দ্রের বাইরের গেটে রোল নম্বর রুম নম্বরের ডিসপ্লে থাকবে।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছরও হলের কাছে থাকা সমস্ত জেরক্স দোকান বন্ধ থাকবে। লাউডস্পিকার বাজানোর ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে অঘটন, বাঁকুড়া জেলায় বড় শতাংশের পরীক্ষার্থী 'ভ্যানিশ'!
আরও পড়ুন, আর ভয় নেই অঙ্কে, রইল আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় উপপাদ্য করার সহজ পদ্ধতি
হলে আসতে পরীক্ষার্থীদের যাতে অসুবিধা না হয়, তারজন্য জেলা প্রশাসনকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিশেষ চাহিদা-সম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের হলের নীচের তলায় সিট দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে এমন স্কুলগুলিতে এই নির্দেশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর কথা মাথায় রেখে সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।