তদন্তে নেমে এসটিএফ মধ্যমগ্রাম এলাকার যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে। যাতে দেখা গিয়েছে, মধ্যমগ্রাম বয়েজ হাইস্কুলের উল্টো দিকের যে মাঠে সচ্চিদানন্দন মিশ্রা বিস্ফোরণ ঘটে মারা গিয়েছেন সেখানে তিনি ১৬ আগস্ট সন্ধেতে এসে পৌঁছেছিলেন। এলাকার কোনও হোটেলের পরিবর্তে ১৬ তারিখ রাতটা ওই মাঠেই কাটিয়েছিলেন। অন্য কোথাও যাওয়ার পরিবর্তে মধ্যমগ্রামের মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। অর্থাৎ প্রায় দেড় দিন ঘটনাস্থলের আশেপাশেই ছিলেন তিনি। বিষয়টি কেন কারোর নজরে এল না সেই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে তদন্তকারী অফিসারদের।
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রেড-ফায়ার লাইসেন্স ছাড়াই শহরের বুকে রমরমিয়ে ব্যবসা পেট্রোল পাম্পের!
এদিকে মৃত যুবকের প্রেমিকা হিসেবে যার নাম উঠে এসেছে সেই লিলিমা’কে আটক করে জেরা করা হচ্ছে। তবে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। জেরায় তিনি বারবার জানিয়েছেন, সচ্চিদানন্দন মিশ্রার আসার কথা জানতেন না। এই বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কোনও কথা হয়নি। ফলে তাঁর স্বামীকে হত্যার ছক কষার গোটা বিষয়টাই অজানা ছিল। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি আরও কারোর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ওই যুবকের? সেক্ষেত্রে কি অন্য কোনও উদ্দেশ্যে আইইডি বিস্ফোরক বানিয়ে বাংলায় এসেছিলেন?
পাশাপাশি তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, ওই যুবক কোথা থেকে বিস্ফোরক, ডিটোনেটর সহ আইইডির মত ভয়ঙ্কর বোমা বানানোর উপকরণ পেল। বিষয়টি আরও ভাল করে খতিয়ে দেখার জন্য এসটিএফ-এর একটি দল দ্রুত হরিয়ানায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি এই রাজ্যে ওই যুবকের হাত ধরে আরও কারোর কাছে আইডির মত বিস্ফোরক ছড়িয়ে পড়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সচ্চিদানন্দ মিশ্রার গতিবিধির আরও ভাল করে ট্র্যাক করার জন্য হাওড়া স্টেশনের নামার পর স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে তিনি ধরা পড়েছেন কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।