রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুস্থ পাঁচ কন্যাকে নির্বাচিত করেন ক্লাবের সদস্যরা। এরপর, সেই রাজকন্যাদের জন্য নির্বাচিত হয় পাঁচ জন রাজপুত্র। রাজকীয় এই বিয়ের আড়ম্বরে কোনও খামতি রাখেননি ক্লাব। আলোর রোশনাই, খাওয়া-দাওয়া থেকে নাচ, গান কি ছিল না সেখানে! নিমন্ত্রিত অতিথি থেকে সেলিব্রেটির ভিড়ে তখন গমগম করছে বিয়ের মণ্ডপ।
advertisement
আরও পড়ুন: নাগরাকাটার চা বাগানে পড়েছিল যুবকের রক্তাক্ত দেহ! কী করে ঘটল এমন ঘটনা?
যাতে, দুস্থ পরিবারের ওই পিতা-মাতা বা কন্যাদের কখনও মনে না হয়, গরিব বলে ইচ্ছে মত বিয়ে দিতে পারবে না। তাদের সেই মনোবাঞ্ছা পূরণ করল বড়তলা স্পোটিং ক্লাবের সদস্যরা। অনুষ্ঠানে পালকি করে আসে কনে, ঘোড়ার গাড়িতে করে নামে বর। মণ্ডপ ছিল সুসজ্জিত। পাঁচ কন্যার বিয়ের জন্য ছিলেন পাঁচ পুরোহিত। দান সামগ্রীতে ছিল খাট, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল থেকে শুরু করে বিয়ের তত্ত্ব। এমনকি বাদ যায়নি সোনার গহনাও। পাঁচ কন্যার বিবাহ দেখতে বহু সাধারণ মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন মনিরামপুরের বড়তলা স্পোটিং ক্লাব প্রাঙ্গণে।
আরও পড়ুন: অশ্রাব্য গালি, অ্যাসিড হামলার হুমকি দিয়ে বধূকে লাগাতার চিঠি! ছড়াচ্ছে আতঙ্ক...
নবদম্পতিদের আশীর্বাদ করেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। এ ছাড়াও বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভা পৌর প্রধান মলয় ঘোষ-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। উপস্থিত নিমন্ত্রিতদের মনোরঞ্জনের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল সঙ্গীতা অনুষ্ঠানেরও।
বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নববধূরা জানান, তাঁরা কখন স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এত জাঁকজমক করে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে। এ ভাবে গরীব দুঃস্থ মানুষদের পাশে থাকতে পেরে খুশি ক্লাব উদ্যোক্তারাও।