স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর জাঁকজমক করে মুলো দিয়ে মায়ের পুজো হয় বলেই হয়ত মায়ের নাম মুলো কালী। এই পুজোকে কেন্দ্র করেই পৌষ ও মাঘ দুই মাস গ্রামের মানুষ মুলো খায় না। কথিত রয়েছে এই সময় থেকে প্রায় ৩৫০ বছর আগে মূর্তি ছাড়াই ঘট পুজো হত। প্রায় ৫০ বছর ঘটপুজো চলার পর মূর্তি পুজো শুরু হয়েছিল।
advertisement
কথিত রয়েছে, বর্ধমানের এক ব্রহ্মচারী স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেবী মূর্তি পুজো শুরু করে। সেই থেকে ঘটের সঙ্গে মূর্তি পুজোর চল হয় গ্রামে। জাগ্রত মা মুলো কালী। স্থানীয়দের কথায় জানা যায়, জাগ্রত মা নানা সময়ে গ্রামের মানুষকে বিপদ থেকে রক্ষা করে চলেছে। ভক্তি ভরে ডাকলে মা সাড়া দেন ভক্তের ডাকে। মনস্কামনা পূর্ণের আশায় প্রায় সারা বছর ভক্তরা মন্দিরে মায়ের কাছে আসেন মানত করেন। তাদের মনের আশা পূর্ণ হলে জাঁকজমক করে পুজো দেন।
আরও পড়ুনঃ গাড়ি-বাসে উঠলেই বমি পায়? এই ৩ কাজ অবশ্যই করুন, মুক্তি মিলবে নিশ্চিত
তবে সর্বাধিক ভক্ত সমাগম হয় এই পৌষ মাঘ মাসে। মন্দিরের ঠিক পিছনেই রয়েছে মায়ের পুকুর। সেখানেই মা কালী স্নান করেন বলেই গ্রামের মানুষের বিশ্বাস। এমনকি মা কালীর স্নানের পর প্রথম যে ব্যক্তি মায়ের এই পুকুরে স্নান করবে। তার সমস্ত মনস্কামনা পূর্ন হয় বলেই বিশ্বাস ভক্তদের। একইসঙ্গে নাকি নানা রোগমুক্তি ঘটে। প্রতি বছর পৌষ মাসের অমাবস্যা তিথিতে মায়ের বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হয়। মায়ের মাহাত্ম্য ছড়িয়ে রয়েছে দূর-দূরান্ত।
শিবানীপুর গ্রাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে আসেন ভক্ত। মা মুলো কালী অভিভাবক সম গ্রামের মানুষের কাছে। সেই দিক থেকে যে কোনও শুভ কাজ মাকে জানান দেওয়া বা মায়ের পুজো নিবেদনের রেওয়াজ গ্রামে।
রাকেশ মাইতি





