একচালায় সংসার পেতেছেন উমা। খড় কাঠামোর উপর মাটি লেপা হয়েছে সবে। এখনও সাজতে গুজতে অনেকটা বাকি। তাতে কী, পুরন্দরপুরের পুরোন পাড়াতেও আগমনীর রোদ একাদ্দোকা খেলছে।
দুর্গা আছে, ডানদিকে লক্ষ্মী আর বাঁদিকে সরস্বতী আছে। বাহন সিংহও কেশর ফোলাচ্ছে। তবুও কী যেন একটা নেই। একঝলকেই চোখে পড়বে তফাৎ। এখানে কার্তিক-গণেশের দেখা নেই। সিউড়ির পুরন্দরপুরের কামারপাড়ায় বৈচিত্র্য যেন আলাদা মাত্রা এনে দেয়।
advertisement
জনশ্রুতি বলে, পাঁচশ বছরের বেশি সময় আগে তান্ত্রিক মনোহর দাসের হাতে পুজোর সূচনা। তাঁর তৈরি পঞ্চমুণ্ডি আসনের উপরে দুর্গার উপাসনা। তান্ত্রিকের লেখা পুঁথির মন্ত্রে আজও পুজো হয়।
তন্ত্রমতে পশ্চিম দিকে মুখ করে থাকে পুরন্দরপুরের প্রতিমা। নবমীর দিন কালীরূপে পুজো করা হয় দুর্গাকে। দশমীর দিন আবার গোঁসাই দেবতা রূপে।
কার্তিক গণেশ ছাড়া দুর্গাপুজো দেখতে অনেক দূর থেকে মানুষ আসেন। কামারপাড়ার ছোট্ট এলাকাটা পুজোর হইহুল্লোড়ে গমগম করে।
নিয়ম আর উপাচারের কড়াকড়ি আছে। সঙ্গে লোককথার কানাকানি। পুরোন রীতিতেই প্রতিবার নতুন করে সেজে ওঠে পুরন্দরপুরের দুর্গাপুজো। ভাললাগায় মুগ্ধ করে।