লোককথা অনুসারে, প্রায় তিনশো বছর আগে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন এলাকার কালীসাধক সভারাম বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পঞ্চমুণ্ডির আসন প্রতিষ্ঠা করে দেবীর আরাধনা শুরু করেন। তাঁর হাত ধরেই সূচনা হয় এই প্রাচীন কালীপুজোর, যা আজও একই ভক্তি, শ্রদ্ধা ও উদ্দীপনায় পালন হয়ে আসছে।
২০১১ সালে স্থানীয় প্রশাসন, মৌতড় ষোলো আনা উৎসব কমিটি এবং গ্রামের তরুণ সংঘের যৌথ উদ্যোগে মন্দিরটি নবরূপে গড়ে তোলা হয়। নতুন মন্দির নির্মাণের পরও পুরনো ঐতিহ্য ও রীতি আজও অটুট রয়েছে।এখানে দেবী কালী চতুর্ভুজা রূপে বিরাজমান। এক হাতে খাঁড়া, অন্য হাতে নরমুণ্ড। বাকি দুই হাতে আশীর্বাদ ও বরাভয়ের ভঙ্গি। দেবীর পদতলে সাদা শিব বিরাজ করছেন। মন্দিরে সংরক্ষিত আছে শতাধিক বছরের প্রাচীন পুঁথি, যার নির্দেশ অনুসারেই পুজোর সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। পুজোর সময় সেই পুঁথি পাঠের বিশেষ আয়োজনও করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : দেবী কালীর বিগ্রহের উচ্চতা ৪৫ ফুট, ক্ষীরপাইয়ের ‘বড়মা’-এর পুজোয় ঢল নামে অগণিত ভক্তের
প্রতি বছর কালীপুজো উপলক্ষে মৌতড়ে বসে সপ্তাহব্যাপী বিশাল মেলা। চারদিক জুড়ে উৎসবের আমেজ, আলোকসজ্জা ও আনন্দের স্রোত বইতে থাকে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে সেই মেলার প্রস্তুতি। মৌতড়ের ‘মা বড় কালী’ পুজো আজ শুধু পুরুলিয়া নয়, সমগ্র পশ্চিমবঙ্গেরই এক ঐতিহ্যবাহী উৎসব। শতাব্দীপ্রাচীন এই পুজো আজও তার নিজস্ব মহিমা, বিশ্বাস ও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে গর্বের সঙ্গে।