ঘাটালে প্লাবিত এলাকায় জল বাড়ছে ধীরগতিতে, নদীগুলির জলস্তরও বাড়ছে। ফলে চরম ভোগান্তি ও দুঃশ্চিন্তায় বানভাসি ঘাটাল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মেদিনীপুর প্রশাসনের তরফে প্লাবিত এলাকায় চলছে মেডিক্যাল ক্যাম্প, ত্রাণ শিবির, জলের ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে পানীয় জল সরবরাহ করছে ঘাটাল পুরসভা। প্লাবিত পুর ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুপুরে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে ঘাটাল পৌরসভা ও ঘাটাল ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। জরুরি প্রয়োজনে প্লাবিত এলাকা থেকে উদ্ধারকার্যের জন্য ঘাটালে মোতায়েন রয়েছে রাজ্য পুলিশের সিভিল ডিফেন্স।এককথায় ঘাটালে বন্যা মোকাবিলায় সজাগ রয়েছে ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। তবে টানা কয়েকদিন ধরে জলবন্দি রয়েছে ঘাটাল, আর কতদিন এই জলযন্ত্রণা সহ্য করতে হবে প্রশ্ন বানভাসি ঘাটালের।
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুল তো নয়, যেন…! দেওয়াল জুড়ে…! লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পড়ুয়া, মেদিনীপুরে দৃষ্টান্ত গড়ল এই স্কুল
এসবের মাঝে নতুন করে আবহাওয়ার পরিবর্তন, নিম্নচাপের জেরে ভারি বৃষ্টিতে আরও দুর্ভোগ বাড়বে এবং বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কায় প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা। গত দু’দিন টানা বৃষ্টির জেরে জল বাড়ছে চন্দ্রকোনায় শিলাবতী ও কেঠিয়া নদীতেও। বর্ষার প্রথম ভয়াবহ বন্যায় চন্দ্রকোনায় শিলাবতী ও কেঠিয়া নদীর একাধিক বাঁধ ভাঙা অবস্থায় রয়েছে, নদীর জল আরও বাড়লে ভাঁঙা বাঁধ দিয়ে সহজে জল ঢুকে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় চন্দ্রকোনার নদীতীর এলাকার বাসিন্দারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে চন্দ্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতি না হলেও ঘাটাল বাদেও প্লাবিত দাসপুরের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত সহ বেশকিছু এলাকা, জল বাড়ছে দাসপুরের নদীতেও। চলতি বর্ষার একমাসও হয়নি তারই মাঝে পরপর তিনটি বন্যার সম্মুখীন ঘাটালবাসী। কৃষি কাজ থেকে জনজীবন বিপর্যস্ত প্লাবিত এলাকায়, পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
মিজানুর রহমান





