লটারি এমন একটি শব্দ, যা গরিব থেকে মধ্যবিত্ত সকল শ্রেণীর মানুষের মনে একটি নতুন আশার সঞ্চার করে। যদিও লটারির নেশা খুবই বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়, তবে প্রবল অনটনের মধ্যে বহু মানুষের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে এই লটারি। একাধিক সময় বহু মানুষের জীবন এক মুহূর্তে বদলে দেয় শুধুমাত্র একটি টিকিট। বীরভূমের রামপুরহাট থানার কাস্টগড়া গ্রামে দিন আনা দিন খাওয়া ভাংরির ব্যবসায়ীর জীবনেও ঘটে গেল চমৎকার।
advertisement
আরও পড়ুন- শুক্রবার সকালেই প্রকাশিত হবে উচ্চমাধ্যমিকের ফল! জেনে নিন কীভাবে দেখবেন রেজাল্ট
সংসারে অভাব-অনটনের মধ্যেই কোনওমতে দিন কাটত রামপুরহাটের কাস্টগড়া গ্রামের রহমত শেখের ৷ শেষ পর্যন্ত ১৫০ টাকার একটি লটারির টিকিট তার জীবনে আমূল পরিবর্তন এনে দিল। জানা গিয়েছে, বীরভূমের রামপুরহাট থানার কাস্টগড়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ভাংরির ব্যবসা করতো ৷ ফেলে দেওয়া নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিস কিনে তিনি অন্যত্র জায়গা বিক্রি করতো।
আরও পড়ুন- Horoscope Today: রাশিফল ৯ জুন; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
সেই কাজ করেই সংসার চালাত। যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতো সে, তাতে সংসার কোনওমতে চলে যেত। সেই কারণে সারা দিন বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেরিয়ে ভাংরির ব্যবসা করত সে। উদ্দেশ্য শুধু মাত্র একটাই, স্ত্রী ও তিন মেয়ে কে নিয়ে পরিবারে কোনও অভাব না রাখা ৷ ৮ জুন বুধবার স্থানীয় দোকান থেকে একটি লটারি টিকিট কিনে রহমত শেখ। তবে সেই লটারি টিকিট যে তার জীবনকে এক মুহূর্তে বদলে দেবে, তা একটুও টের পায়নি সে। বুধবার রাত ৮ টার পর জানাজানি হয় এক কোটি টাকা সে জিতেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই কয়েকশো মানুষ রহমতের বাড়ি চলে আসেন কোটিপতি রহমতকে দেখতে রাত বাড়ার সাথে সাথে ভিড় বাড়তে থাকে ৷ রহমতের আতঙ্কও বাড়তে শুরু করে। তিনি খবর দেন রামপুরহাট থানার পুলিশকে ৷ পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে গাড়ি করে তাকে রামপুরহাট থানায় আনেন ও রামপুরহাট থানা নিজেদের নিরাপত্তা দিয়ে তাকে রাখেন ও তার থাকা খাওয়া সব রকম ব্যবস্থা করা হয়।