ঘুম থেকে উঠেই মাঠে ছুটে যান মনি বাবু। মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে গোপালের ধাতুর মূর্তি। গোপালকে ঠাকুর ঘরে রেখে কাজে বেরিয়ে যান তিনি। গোপাল পেয়ে খুশী হয় মণ্ডল পরিবার। স্বপ্নাদিষ্ট গোপাল পাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় বাড়তে শুরু করে মণ্ডল বাড়িতে। গোপালকে দেখতে ভিড় উপচে পরে। শাঁখ বাজিয়ে, উলু ধ্বনি দিয়ে শুরু হয় পুজোপাঠ। কিছুক্ষণ পরেই মণ্ডল বাড়ির গৃহকর্ত্রী জানান, গোপাল তাঁকে আদেশ করেছেন ভোগ রেঁধে খাওয়াতে। কিন্তু গোপাল একা সে ভোগ খাবেন না, খাওয়াতে হবে তাঁর বন্ধুদেরও। আদেশমতো সোমবার মণ্ডল বাড়িতে আয়োজন করা হয় গোপালের ভোগের। লুচি, তরকারি, খিচুড়ি, আলু ভাজা, বেগুন ভাজা, পায়েস রাঁধা হয়। মেনুতে ছিল রসগোল্লা, সন্দেশও। রান্নার পর গোপালকে দেওয়া হয় ভোগ। গোপালের বন্ধু এলাকার ১০ টি বালককে খাওয়ানো হয়। মঙ্গলবার সকালে গোপাল গৃহকর্ত্রীকে জানান, তিনি লুকোচুরি খেলবেন। গোপাল লুকিয়ে থাকবে আর তাঁকে খুঁজে বের করতে হবে সবাইকে। একটু অন্যমনস্ক হতেই গৃহকর্ত্রী দেখেন সিংহাসনে নেই গোপাল। শুরু হয় লুকোচুরি খেলা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখা মেলে বাড়ির উঠোনে একটা ফাঁকা বালতির মধ্যে। তাঁকে খুঁজে পেয়েছেন সেই খবর অন্যদের জানান গৃহকর্ত্রী। এসে দেখেন বালতির মধ্যেও নেই গোপাল। আবার অন্য কোথাও লুকিয়ে পড়েছেন তিনি । শুরু হয় জোর খোঁজাখুঁজি। অবশেষে গোপালের খোঁজ মেলে ঠাকুর ঘরেই। মণ্ডল বাড়ির মতো এলাকার বাসিন্দাদের বিশ্বাস গোপালের আবির্ভাব হয়েছে ঝাঁপপুকুরে। যদিও সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে কিছুই বলবেন না বলে জানান মনি মন্ডলের স্ত্রী।
advertisement
গণেশে দুধ খাওয়ার মত ঘটনা নিয়ে গোটা দেশে উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল। মণ্ডল বাড়ির গোপালের লুকোচুরিও কোনও অলৌকিক ঘটনা না, এর পিছনে আছে অন্য কোনও উদ্দেশ্য প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিয়ে খেলা বন্ধ করা উচিত বলে মনে করে বিজ্ঞান মঞ্চ।