সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এই নতুন কংক্রিটের ব্রিজ। যদিও কাজের প্রাথমিক সময়সীমা নির্ধারিত ছিল কয়েক মাস, তবে বাস্তবে তা সম্পূর্ণ হতে খানিকটা বেশি সময় লেগেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজ শেষ হয়ে ব্রিজটি চালু হওয়ায় এলাকাবাসীর মুখে এখন স্বস্তির হাসি।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক নায়েক বলেন, “আমরা তো উপকৃত হয়েছি তার সঙ্গে আশপাশের আরও অনেক গ্রামের মানুষেরও উপহার হল। পড়ুয়া, রোগী, নিত্যযাত্রীরা এবার থেকে অনেক উপকৃত হবেন।” এই ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন কালনা দু’নম্বর ব্লকের দেবীপুর, ভুরকুন্ডা, পোতানয়, তালা, টোলা-সহ প্রায় এক ডজন গ্রামের মানুষ। ব্রিজ সংস্কার না হওয়ার কারণে তাঁদের দু’কিলোমিটারেরও বেশি পথ ঘুরে বিকল্প পথে যেতে হতো। শুধু তাই নয়, ব্রিজের নির্মাণ চলাকালীন যেই অস্থায়ী বাইপাস রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল, সেই পথ ছিল দুর্ঘটনাপ্রবণ। প্রায়ই সেখানে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটত, যা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তবে এখন নতুন ব্রিজ চালু হওয়ায় সেই ভোগান্তির অবসান ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মাধব রানা বলেন, “আমাদের অনেক উপকার হল। যাতায়াত করতে খুবই অসুবিধা হত আমাদের। এই ব্রিজ হওয়ার ফলে আমাদের খুবই উপকার হল।” স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, অফিসগামী মানুষ থেকে শুরু করে রোগী পরিবহণ, সব ক্ষেত্রেই এখন যাতায়াত অনেক সহজ হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকাবাসীদের বক্তব্য, এই ব্রিজ পুনর্নির্মাণের ফলে অবশেষে দীর্ঘদিনের এক বড় সমস্যার সমাধান হয়েছে। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রিজটির নির্মাণে আধুনিক মান বজায় রাখা হয়েছে, যাতে আগামী দিনে মানুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা যায়। সর্বোপরি, বহু প্রতীক্ষার পর তালা ব্রিজ চালু হওয়ায় এখন আনন্দে মুখর গোটা অঞ্চল।





