শুক্রবার রানাঘাটের সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সুকান্ত এ দিন বলেন, “রানাঘাট আসনে আমাদের লড়াই মার্জিন বাড়ানোর লড়াই, ৪ লক্ষ মার্জিন বাড়ানোর লড়াই। তৃণমূল কংগ্রেস স্বপ্নেও ভাবে না রানাঘাট থেকে জেতার।” সেই সঙ্গে মুকুটমণিকে প্রার্থী করা নিয়ে তিনি বলেন, “ওদের যদি নেতা থাকত তা হলে আমাদের বিধায়ককে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার দরকার হতো না। মুকুটমনি পাকেটমানি হয়ে চলে যাবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: নতুন ফর্ম্যাটে হতে চলেছে এ বারের টি২০ বিশ্বকাপ, কোন দল ক’টি ম্যাচ খেলবে?
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে সুকান্তের কটাক্ষ, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করে দেখতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। উনি জয় বাংলা শ্লোগান দেন। মুখ্যমন্ত্রী জানেন বিজেপি ৩০টি আসন পাবে, তাই তিনি ইভিএম নিয়ে বলছেন। এ বার একটি আসন হলেও তৃণমূল এর থেকে বেশি পাবে। ৩০টি আসন পেলে ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে না, তার আগেই বিজেপি এর মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বসবে। আমি কথা দিয়ে গেলাম এখান থেকে।”
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন নিয়ে সুকান্ত বলেন, “আমাদের বিরোধীদের এখন দুটোই পজিশন আছে। নয় জেল, অথবা বেল।এখন বেল পেয়েছেন পড়ে জেলেও যেতে পারেন।” পাশাপাশি সন্দেশখালি প্রসঙ্গ নিয়েও মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পুলিশকে আক্রমণ করে বলেন, “পুলিশ এক জন রিতাকে ১৬৪ করিয়েছে। পুলিশ করিয়েছে ম্যাজিস্টেট-এর সামনে। পুলিশ কার? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাতে ধর্ষনের অভিযোগ আছে। এর মধ্য বিজেপি কোথায় এল? পুলিশ তা হলে ভুল বুঝিয়ে করিয়েছে? তা হলে দায় তো পুলিশের, তৃণমূল কংগ্রেসের, বিজেপির তো নয়।”
প্রসঙ্গত, রানাঘাটে আগামী ১৩ মে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিজেপির হয়ে এই নির্বাচনে লড়ছেন জগন্নাথ সরকার। তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন মুকুটমণি অধিকারী। সিপিএস থেকে দাঁড়িয়েছেন অলোকেশ দাস।
