কেউ নিজের হাতে আঁকা ভারতের মানচিত্র, আবার কেউ এনেছিলেন স্কেচ করা মোদির ছবি। কারওর হাতে আবার ছিল শিবভক্ত মোদির জন্য আরাধ্য দেবতার ছবি। সবাই নিজেদের উপহার প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন। ফলে নিজের বক্তব্য রাখার সময় বারবার থামতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। এই ছন্দপতনের জন্য বারেবারে বিব্রত হতে হচ্ছিল প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীদের।
advertisement
শুক্রবার সাঁইথিয়া ব্লকের পাশেই আমোদপুরের মেলার মাঠে বীরভূমের দুই বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্র মোদি। জনসভর মাঠ ভরানোর জন্য বীরভূমের বিজেপি নেতৃত্ব পাশের জেলা বর্ধমান, পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকেও বাস ভরতি করে সমর্থকদের নিয়ে এসেছিলেন। প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বে সবচেয়ে বড় জনসমাবেশটা আমোদপুরের মাঠেই হল।
আরও পড়ুন: ওদের জন্য শহরজুড়ে বসল জলের পাত্র
হ্যাঙারের ধাঁচ সমাবেশের মন্ডপ সাজানো হয়েছিল।কাঠফাটা রোদে মাঠের বাইরে রাস্তায় রীতিমত মেলা বসে যায়। কেউ নিয়ে বসেছিলেন বোতল বোতল জল, কেউ ঘুগনি মুড়ি, কেউ আবার শসা। মাঝের হ্যাঙারে আগে থেকেই নিজের হাতে আঁকা জল রং দিয়ে ভারতের মানচিত্র নিয়ে হাজির হয়েছিল আস্তিক চট্টোপাধ্যায়। দশম শ্রেণির ছাত্রর বাড়ি বর্ধমান।সেখান থেকেই মোদিজির জন্য তার এই ছবি আনা। এমন আরও অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর জন্য উপহার নিয়ে এসেছিলেন।
নরেন্দ্র মোদি ভাষণ শুরু করতেই তাঁর জন্য আনা উপহার মাথার উপরে তুলে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতে শুরু করেন। অনেকটা খেলার মাঠের পোস্টার দেখানোর মত তাঁরা নিজেদের উপহার নিয়ে সভার সামনে চলে যন।ত বে এত মানুষের মাঝেও চোখ এড়ায়নি নরেন্দ্র মোদির।
তিনবার তিনি বক্তৃতা থামাতে হয় প্রধানমন্ত্রী কে। প্রায় জনা দশেক কিশোর বালক সকলেই মোদির হাতে তাদের উপহার তুলে দিতে চায়। প্রথমবার মোদি বলেন, ‘ঠিক আছে, আমার জন্য আনা উপহার আমি গ্রহণ করলাম। আমার দফতর থেকে তার প্রাপ্তি স্বীকার করে আপনার ঠিকানায় চিঠি চলে যাবে।’ তাতেও বেশ কিছু কিশোর নাছোড়। তারা হাতে উপহার তুলে দেবেই। তারা জানায়, রাত জেগে প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য উপহার বানিয়েছেন। ফের বক্তব্য থামিয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের বলেন, এক বালকের থেকে শিবলিঙ্গের কাট আউট নিয়ে আসতে। তবে বারবার প্রধানমন্ত্রী ভাষণ থামানোয় বীরভূমে তিনি বেশিক্ষণ বক্তব্য রাখার সুযোগ পাননি।
সৌভিক রায়