প্রসঙ্গত, রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পাণ্ডুয়া হাসপাতালের চিকিৎসক শিবশঙ্কর রায়কে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছিল এক রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার কথা জানার পরই এদিন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে যান বিজেপি সাংসদ। কিন্তু হাসপাতালে ঢোকার মুখেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন লকেট। এমনকী তাঁকে ঘিরে 'গো ব্যাক' স্লোগানও ওঠে। বিজেপির আরও অভিযোগ, তৃণমূল শুধু তাঁদের দলের সাংসদকে ঘিরে বিক্ষোভই দেখায়নি, পুলিশ প্রশাসনের তরফেও কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি। তাঁদের অভিযোগ, বারবার পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিকিউরিটি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
advertisement
প্রসঙ্গত, এদিন হুগলিতে বজ্রপাতে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গত ৭ তারিখ বজ্রপাতে হুগলি জেলার ১১ জন মারা যান। বুধবার তাঁদের মধ্যে তিন জনের বাড়িতে গিয়েছিলেন লকেটও। সেখানেই বিজেপিতে যারা বেসুরো হয়ে উঠছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান তিনি। বলেন, ‘যাঁরা বেসুরো গাইছেন, তাঁরা কোন স্বার্থ নিয়েই বিজেপিতে এসেছিলেন। তাই তাঁরা যত তাড়াতাড়ি বিদায় হবেন, ততই আমাদের দলের জন্য ভালো। আমরা BJP কর্মীরা আরও নতুন উদ্যমে তারপর থেকে কাজ শুরু করব। বাংলার ২ কোটি ২৮ লক্ষ মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন। এটা মনে রাখতে হবে। আমরা মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। এখন ঘরছাড়া কর্মীদের ঘরে ফেরানোই প্রথম লক্ষ্য।’
যদিও হুগলি জেলায় প্রবল গোষ্ঠীকোন্দলে ভুগছে বিজেপিও। জেলা সভাপতিকে অপসারণের দাবিতে গত সপ্তাহেই চুঁচুড়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়েনন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। হুগলিতে জেলা সভাপতিকে অপসারণের দাবিতে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভ চলাকালীন ভিতরেই ছিলেন দিলীপ। পরে তিনি বেরিয়ে আসার সময়ও বিক্ষোভ দেখানো চলে। হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায়ও টাকা খেয়ে বিকিয়ে গিয়েছেন, এমন গুরুতরও অভিযোগও তোলা হয়েছে।