স্থানীয়দের অভিযোগ, ফ্ল্যাট বাড়িটির বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য রাস্তা থেকে মাত্র তিন ফুট দূরত্বে বেআইনিভাবে ট্রান্সফর্মার বসানো হচ্ছিল। এই নিয়ে ইতিপূর্বে গত ২৬ মে এলাকার বহু বাসিন্দা স্বাক্ষর সংগ্রহ করে স্টেশন ম্যানেজার ও ডিভিশনাল ম্যানেজারের দফতরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তবুও ট্রান্সফর্মার বসানোর চেষ্টা হয়। ঘটনাস্থলে তমলুক থানার পুলিশ এবং বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা পৌঁছালেও পারমিশন সংক্রান্ত প্রশ্নে সঠিক জবাব দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভের মুখে পড়ে অবশেষে বন্ধ রাখা হয় ট্রান্সফর্মার বসানোর কাজ।
advertisement
আরও পড়ুন: সমুদ্রে ‘ব্যান পিরিয়ড’, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, দু’মুঠো ভাত জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা
স্থানীয় কাউন্সিলর সুফিয়া বেগম বলেন, “সপ্তাহখানেক আগে থেকেই এই ফ্ল্যাটে ট্রান্সফর্মার বসানো নিয়ে সমস্যা চলছিল। রাস্তার পাশে ইলেকট্রিক খুঁটি হলে রাস্তা সংকীর্ণ হবে এবং যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইতিমধ্যেই স্থানীয়রা তাদের সমস্যার কথা লিখিতভাবে এবং স্থানীয়দের স্বাক্ষর করে ইলেকট্রিক দফতরের কাছে জানিয়েছিল। তারপরেও কীভাবে ইলেকট্রিক দফতর এই কাজ শুরু করেছে আমরা বুঝতে পারছি না। কোনমতেই আমরা এখানে এই কাজ করতে দেব না।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন (এ্যাবেকা)-এর জেলা কমিটির সদস্য প্রণব মাইতি বলেন, “তমলুক শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এর আগেও পিচ রাস্তার ধারে অবৈধভাবে খুঁটি বসানো হয়েছে। বারবার জানানো সত্ত্বেও সেগুলি অপসারণ হয়নি। এবার আবার নতুনভাবে ট্রান্সফর্মার বসানোর চেষ্টাকে আমরা মেনে নেব না।’’ এলাকাবাসীর দাবি, ব্যক্তিগত ফ্ল্যাটের ট্রান্সফর্মার তার নিজস্ব জমিতেই বসাতে হবে। রাস্তার ধারে এভাবে জনসুরক্ষাকে উপেক্ষা করে অবৈধ নির্মাণ হলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
সৈকত শী