আরও পড়ুন: জল চেষ্টাই কাল হল বৃদ্ধের, দরজা খুলতেই শুঁড়ে জড়িয়ে তুলে আছাড়!
বালুরঘাট শহরে এতোদিন কোনও পার্কিং জোন ছিল না। ফলে শহরের ব্যস্ত রাস্তার মধ্যেই গাড়ি, বাইক দাঁড় করিয়ে লোকজন নিজেদের দরকারি কাজ সাড়ত। আর তাতেই তীব্র যানজটে ভরে থাকে গোটা শহর। এই সমস্যা দূর করতে বালুরঘাট পুরসভা দুটি পার্কিং জোন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। যার একটি আন্দোলন সেতু সংলগ্ন খাঁড়ির পাড়ে, দ্বিতীয়টি বালুরঘাট ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে। পাকিং জোন দুটি তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু তখনই পুরসভার কাজ নিয়ে দেখা দিল বিতর্ক। আন্দোলন সেতু সংলগ্ন পার্কিংয় জোন তৈরির কাজের জন্য সেখানে ভাগাড়ের মাটি ফেলা হচ্ছে। আর তাতেই এলাকায় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে বলে এলাকাবাসীদের পাশাপাশি অভিযোগ বিরোধী দল বিজেপির।
advertisement
এই প্রসঙ্গে শহরের এক বাসিন্দা বলেন, আন্দোলন সেতুর উপর দিয়ে রোজ যাতায়াত করি। কয়েকদিন ধরে দেখছি সেতুর পাশে কিছু একটা ভরাট করা হচ্ছে। বৃষ্টির পর ওই এলাকা দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। রাস্তায় কাদা জমে যাচ্ছে। তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পুরসভা যদি বিষয়টি দেখে তাহলে আমরা উপকৃত হই।
এই বিষয়ে বিজেপির শহর সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্তের অভিযোগ, ভাগাড়ের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে আত্রেয়ীর খাঁড়িতে। খাঁড়ি বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। গোটা এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ওই এলাকা দিয়ে চলাচল করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। দুর্গন্ধে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাছাড়া এতে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়বে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মহকুমাশাসককে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি।
তীব্র দুর্গন্ধ এবং নিকাশির বেহাল অবস্থান নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে বালুরঘাটের পুরপ্রধান অশোককুমার মিত্র বলেন, বিজেপির কাজই শুধু অভিযোগ করা। ওদের কোনও সদিচ্ছা নেই। বিজেপি নোংরা মাটি ফেলার যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। শুধু মাটিই ফেলা হচ্ছে। বৈজ্ঞানিকভাবেই সব করা হচ্ছে। ফলে নিকাশি সমস্যা নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। সদর মহকুমাশাসক সুমন দাশগুপ্ত বলেন, এ নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সুস্মিতা গোস্বামী