যদিও যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মেনে লেনদেন হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞদের দলও সীমান্তে ঘুরে যায়। লকডাউনের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ ছিল, দু' দেশের নাগরিক চাইলে এই বন্দর ব্যবহার করে দেশে ফিরতে পারবেন।আর আমদানি রপ্তানির কাজ চলবে। বাস্তবে প্রথম দফার লকডাউন শুরু হওয়ার কয়েকদিন পরই এই সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায় । সেই বন্ধ থাকা বানিজ্য শুরু হয় গত বুধবার পেট্রাপোল বেনাপোল সীমান্তে।
advertisement
তার পর থেকে এই সীমান্তের কর্মরত শ্রমিকরা করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন। তাঁদের দাবি, পণ্য পাঠাতে ভারতের যে সমস্ত ট্রাক বাংলাদেশে যাবে সেখান থেকে কেউ সংক্রমিত হয়ে ফিরলে বিপদ আরো বাড়বে। সেই মতকে সমর্থন করে বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ পেট্রাপোল বেনাপোল সীমান্ত বন্ধের দাবী জানিয়ে শনিবার চিঠি দেন জেলা শাসককে।
এ দিন সকাল থেকে তৃণমুল কংগ্রেস পরিচালিত সীমান্তের পঞ্চায়েতের ছয়ঘড়িয়া পঞ্চায়েতের জয়ন্তীপুর বাজারে অবোরধ শুরু করেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে পেট্রাপোল বেনাপোল সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। সীমান্ত বন্দরগামী রাস্তা সকাল থেকে অবরোধ থাকায় একপ্রকার বন্ধ হয়ে যায় দু' দেশের মধ্যে বাণিজ্য। পেট্রাপোল সীমান্ত ক্লিয়ারিং ও ফরোয়ার্ডং এজেন্ট আ্যাশোসিয়েসনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী এ দিন বলেন, অত্যন্ত জরুরি সামগ্রী পেট্রাপোল পেরিয়ে ওদেশ যাচ্ছিল। এখন প্রশাসন যেমন বলবে সেই ভাবেই বন্দরের বাণিজ্য হবে।