যাত্রীদের পাশাপাশি বাইক-সাইকেল পারাপার করতে গিয়েও তৈরি হচ্ছে বিপদ। সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যায় ঘাট এলাকা, আলোর কোন ব্যবস্থাই নেই। সবচেয়ে ভোগান্তি হয় যখন আতাপুর থেকে আশঙ্কাজনক কোন রোগীকে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। নদী পারাপারের সময় রোগীর পরিবারকে পড়তে হয় চরম সমস্যার মুখে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট, সবেতেই জল আর জল…! পিছু ছাড়ছে না সাপও, ছবিতে দেখুন কতটা ভয়ঙ্কর জনজীবন
স্থানীয় নিত্যযাত্রীরাও বলছেন, কোটালে নদীর জল নেমে গেলে ঘাটের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত গিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় উঠতে হয়। অথচ এই আতাপুর-খুলনা রুট সুন্দরবনের মানুষের অন্যতম ভরসার পথ। প্রত্যন্ত সুন্দরবনের মানুষ প্রশাসনের কাছে দ্রুত কংক্রিটের জেটিঘাট তৈরির দাবি জানিয়েছেন। যাতে এই নদী পারাপার আর মৃত্যুর শঙ্কা নয়, বরং নিরাপদ ভরসা হয়ে ওঠে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিকে বর্ষা শুরু হতেই সমস্যার আরও বাড়তে বসেছে। নদীর জল ফুলে উঠলেই ঘাটের নিচের অংশ ভেঙে যাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে জেটিঘাট তৈরি না হলে যাত্রী নিরাপত্তা চরম সঙ্কটে পড়বে। অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি মিললেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। অথচ জীবনের তাগিদে নদী পার হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রী ও রোগীদের। সুন্দরবনের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে নিরাপদ ঘাট শুধু দাবি নয়, প্রয়োজন। প্রশাসনের দৃষ্টি আর দ্রুত পদক্ষেপই পারে আতাপুর খেয়াঘাটকে নিরাপদ করে তুলতে।
জুলফিকার মোল্যা