এই নদ থেকে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার হয়েছে বহু প্রাচীন বহুমূল্যের মূর্তি। সে রকমই বৃহস্পতিবার অজয় নদ থেকে আবারও উদ্ধার হয় একটি প্রাচীন, বহুমূল্য ত্রিবিক্রম বিষ্ণু মূর্তি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক ব্যক্তি এই মূর্তিটি দেখতে পেয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করেন।
advertisement
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন মারফৎ মূর্তি উদ্ধারের খবর কেতুগ্রাম থানায় পৌঁছালে, পুলিশ মূর্তিটি উদ্ধার করে কেতুগ্রাম থানায় নিয়ে যায়। আর তারপর শনিবার কেতুগ্রাম থানার উদ্যোগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে পাঠানো হয় ওই মূর্তি। কেতুগ্রাম থানার আইসি পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় জানান, ”আমরা খুশি এই ধরনের অতিপ্রাচীন উদ্ধারকৃত মূর্তিটি ওঁদের হাতে তুলে দিতে পেরে।” বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম ও আর্ট গ্যালারির ইনচার্জ তথা প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ শ্যামসুন্দর বেরা জানিয়েছেন, “মূর্তিটি দ্বাদশ শতকের। এটা ৯০০ বছরের পুরানো।” এই মূর্তিটির নীচের ডান হতে আছে পদ্ম এবং উপরের ডান হাতে আছে গদা। বামদিকের উপরের হাতে আছে চক্র এবং নিচের হাতে আছে শঙ্খ। এটি ত্রিবিক্রম মূর্তি এবং কালো পাথরের তৈরি। এটা কুড়ি ইঞ্চি লম্বা এবং চওড়া সাড়ে নয় ইঞ্চি। এটি আসলে সেন আমলের একটা মূর্তি।
শনিবার সমস্ত ধরনের নিয়ম কার্য সম্পন্ন করে কেতুগ্রাম থানার কাছ থেকে মূর্তিটি হস্তান্তর নেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম ও আর্ট গ্যালারির ইনচার্জ তথা প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ শ্যামসুন্দর বেরা। বর্তমানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম ও আর্ট গ্যালারিতেই সংরক্ষিত রয়েছে মূর্তিটি। তবে শুধু এই মূর্তি নয় , বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম ও আর্ট গ্যালারিতে আরও বহু মূর্তি রয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও অজয় নদ থেকে এই ধরনের মূর্তি পাওয়া গিয়েছে।
—বনোয়ারীলাল চৌধুরী