কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে ২১ অগাস্ট থেকে ২৩ অগাস্ট তিন দিনে মদ বিক্রি প্রায় ৪ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকার। আবগারি সূত্রে জানা যায়, তারাপীঠ সার্কেল এলাকায় মোট ২৫টি মদের দোকান। সেই দোকানগুলিতে কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে এই বছর প্রায় ৪ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। এছাড়া রামপুরহাট সার্কেলের মধ্যে রামপুরহাট শহর লাগুয়া এলাকায় বিক্রি হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি মদ। তবে গোটা বীরভূম জেলার হিসাব ধরতে গেলে সেই অঙ্কটা আরও অনেক বেশি।
advertisement
কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে এসে কেউ ভক্তিরসে ভাসল। কেউ সোমরসে ডুবল। রথ দেখা-কলা বেচা দু’য়েই মত্ত হয়ে পড়েন ভক্তেরা। বেহুঁশ হয়ে অনেকে রাস্তাতেও পড়ে থাকলেন। কেউ আবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে মদ্যপান করেছেন। কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে রেকর্ড গড়ল মদ বিক্রি। বেআইনিভাবে মদ বিক্রি রুখতে এবার কড়া নজরদারি চালিয়েছে প্রশাসন। তারপরও রাতভর চলেছে মদ বিক্রি। আবগারি দফতর থেকে নিয়ম করে দেওয়া হয়েছিল বেআইনিভাবে মদ বিক্রি করতে দেওয়া যাবে না। শান্তি-শৃঙ্খলা মেনে আইনি পথে মদ বিক্রি করতে হবে দোকানদারদের । সেই মত ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে মদ কিনতে হল ক্রেতাদের। মা তারার পুজোয় লক্ষ্মীলাভ হল বিক্রেতাদেরও।
পড়শি রাজ্য বিহারে মদ নিষিদ্ধ। সুরার টানে তারাপীঠে ভিড় করেন ভিনরাজ্যের বাসিন্দারাও। তবে এই উল্লাসে আপত্তি রয়েছে ভক্তদের একাংশের। তারাপীঠে আসা ভক্তদের মধ্যে একাংশের দাবি, অতিরিক্ত মদ বিক্রির কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় অনেক সময়। প্রশাসনের দেখা উচিত, মাকে যদি ডাকতে হয় মদ না খেয়েই মাকে ভক্তি করা উচিত, পুরুষ বা মহিলা যারাই মদের সাহায্য নিয়ে মাকে ডাকছেন তারা ঠিক করছেন না, মদ না খেয়ে মাকে ডাকলে বেশি খুশি হতেন মা।