সাধারনত আমরা জানি, দীপাবলি আলোর উৎসব। এই সময়ই আলোয় আলোয় ভরে ওঠে আকাশ। ঘরবাড়ি রঙিন আলোতে সাজিয়ে তোলেন আমজনতা। কিন্তু শুধু দীপবলি বলে নয় সবসময়ই নিজেকে আলোতে মুড়ে রাখেন এই ব্যক্তি। আসলে বিষয়টা হচ্ছে গাড়ি এবং নিজের শরীর জুড়েই ঝিকিমিকি লাইট লাগিয়ে সবসময়ই ঘোরেন তিনি। রাত হলে সেই আলো জ্বলে ওঠে। এ যেন লাইটম্যান।
advertisement
চন্দ্রকোনা রোড-সহ নানান জায়গায় তিনি এ ভাবেই ঘুরে বেড়ান। তার নাম তাপস ঘোষ। মানুষদের মনোরঞ্জন দিতেই সারা শরীরে ও বাইকে রাইস লাইটে মুড়িয়ে রেখেছেন। ব্যাটারির সাহায্যে সেগুলো জ্বলে ওঠে। আর সন্ধ্যা নামলেই সেই আলোর কায়দা ফুটে ওঠে। মানুষ আনন্দ পায়। বাচ্চারা দেখলে আনন্দ পায়। আর ক্রন্দনরত বাচ্চারা দেখলেই নিমেষে কান্না থামিয়ে হেসে ওঠে। আর এটাই তাপস বাবুর জীবনের বড় পাওয়া।
মানুষ আনন্দ পাচ্ছে এর থেকে বড় আর কী বা হতে পারে। তাই সন্ধ্যা হলেই বেরিয়ে পড়েন নিজের এই ঝিকিমিকি লাইট লাগানো জামা পরে, লাইটে মোড়া বাইক নিয়ে। তাপস বাবু বলেন, “ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল লাইট তৈরি করার। আমি নিজে হাতেই এই নানান লাইট তৈরি করেছি। জামাতে ও বাইকে এই লাইট জ্বলতে প্রায় তিন চারটে ব্যাটারি রয়েছে। ব্যাটারির সাহায্যেই জ্বলছে। একটাই উদ্দেশ্য মানুষকে মনোরঞ্জন দেওয়া। আমি বেরোলেই লোকে হাসে, আনন্দ পায়। বাচ্চাদের কান্না থেমে যায় হেসে ওঠে তারা এটাই আমার পাওয়া। আর তাছাড়া নিজেও খুব আনন্দ পাই। মন থেকে হালকা লাগে তাই বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ি”।
বর্তমান দিনে হাসতে ভুলে গিয়েছে মানুষ। যার দিকেই তাকাবেন সবাই একমাথা চিন্তা আর বস্তাভর্তি সমস্যা নিয়ে ঘুরছে। নানান চাপে হাসি উড়ে গিয়েছে মানুষের জীবন থেকে। প্রাণ খুলে হাসতে আর কাউকে দেখা যায় না। যা হয় সেটা নিয়মরক্ষার হাসি। মনে শান্তি নেই। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তাপস বাবু নিজেও খুব আনন্দ নিয়ে ঘুরছেন আর অন্যকে আনন্দও দিচ্ছেন। তার এই কর্মকাণ্ডে হাসি ফুটছে এলাকার মানুষের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একটা সাধারণ মানুষ। তার সাধারণ কাজই যেন অসাধারণ। মানুষকে আনন্দ দেওয়া, মনোরঞ্জন দেওয়াও একরকম সমাজসেবা। সমাজের বুকে এক গাল হাসির কাণ্ডারি তিনি। তার এই কর্মকাণ্ড সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।





