হুগলি চন্ডীতলা কাপাসারিয়া দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা শেখ মানিকলাল (৪৫) প্রতিবেশি সেখ কবীরকে (৪৫) খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন ১৫ আগস্ট ২০১৬ সালে। ১৯ জুলাই ২০১৯ সালে তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেয় শ্রীরামপুর আদালত।
আরও পড়ুনঃ হাওড়াবাসীর জন্য বড় সুখবর! জলযন্ত্রণার দিন শেষ, ১০০ কোটির প্রকল্পে সিলমোহর, দ্রুত কাজ শুরু
advertisement
২১ জুন ২০২৪ সালে হুগলি জেল থেকে ২০ দিনের জন্য প্যারোলে বেরিয়েছিল মানিকলাল। ১২ জুলাই তার সংশোধনাগারে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সে ফেরেনি। ১৩ জুলাই হুগলি জেল সুপারের কাছ থেকে ইমেলের মাধ্যমে অভিযোগ পায় চন্ডীতলা থানা। পুলিশ শেখ মানিকলালের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ দায়ের করে। ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ সালে কলকাতা হাইকোর্ট সিআইডিকে এই বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সিআইডি সেই মামলা গ্রহণ করে এবং মানিকলালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এরপর তল্লাশি শুরু করে সিআইডি। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী শেখ মানিকলাল আবার গ্রেফতার হয়।
আরও পড়ুনঃ জঙ্গলে গরু খুঁজতে গিয়েই সর্বনাশ! ঝোপঝাড়ের আড়াল থেকে এগিয়ে এল সাক্ষাৎ ’যমদূত’, মুহূর্তে সব শেষ
তারপর থেকে হুগলি জেলেই বন্দি ছিল সে। শুক্রবার তাকে জেলের ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়।কারারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে শেখ মানিকলালের পরিবার জেলে আসেন। তারা জানান, জেল থেকে তাদের খবর দেওয়া হয় মানিক আত্মহত্যা করেছেন।
