ডিজিটাল মাধ্যমে লেখার অভ্যাস আর হাতে-কলমে লেখার অভ্যাস সম্পূর্ণ আলাদা। ক্রমশ হাতে কলমে লেখার প্রবণতা কম হচ্ছে। আসলে ডিজিটাল মাধ্যমে লেখার উপায় খুব সহজ। যেখানে ব্যাকরণ জ্ঞান বানান লেখা দক্ষতা ছাড়াও খুব সহজে হাজার হাজার ওয়ার্ড এর লেখা যেতে পারে। কিন্তু হাতে-কলমে তা মোটেও সম্ভব নয়। তাই ডিজিটাল মাধ্যমে লেখায় সরবর ছেলেও, হাতে-কলমে লিখতে মুখ থুবড়ে পড়ে। আসলে হাতে কলমে লিখতে হলে, নিজস্ব বানান ও ব্যাকরণ জ্ঞান থাকা আবশ্যিক। একইসঙ্গে প্রয়োজন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন লেখার দক্ষতা।
advertisement
আসলে ডিজিটাল মাধ্যম ভুল করতে দেয় না। রয়েছে বাড়তি সুবিধা। ফলে দ্রুত গতিতে বাড়ছে ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবহার। তবে নিজের হাতের লেখার গুরুত্ব রয়েছে আলাদা। বহু বছর আগে হাতের লেখা চিঠি বর্তমান সময় ইতিহাস। এমন উদাহরণ বহু। সেই দিক গুরুত্ব রেখে, দারুণ উৎসাহিত শিক্ষক-শিক্ষিকা অভিভাবক। আবার এই ডিজিটাল সময়েও হাতের লেখা লিখতে উৎসাহী একাংশ ছাত্রছাত্রীও।
বিগত কয়েক বছর হাওড়া জেলায় প্রতিবছর এই চিঠি লেখার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার সাঁকরাইলে অনুষ্ঠিত হল ভারতীয় ডাক বিভাগের উদ্যোগে এবং উইস সংগঠনের ব্যবস্থাপনায় কান্দুয়া মহাকালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চিঠি লেখার প্রতিযোগিতা। সাঁকরাইল ব্লকের কান্দুয়া গ্রামের ১০ টি প্রাথমিক স্কুল, ১ টি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এবং সাঁকরাইল ব্লকের অন্তর্গত নলপুর গ্রামের দুইটি প্রাথমিক স্কুলের প্রায় এক হাজার ছাত্রছাত্রী চিঠি লেখা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন : কনকনে শীতে বাড়িতে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলুন গরমাগরম পাহাড়ি চিকেন স্যুপ! জানুন রেসিপি
এ প্রসঙ্গে হাওড়া ডাক বিভাগের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট গীতা বার্লা জানান, ‘‘ছাত্র-ছাত্রীদের লেখার প্রতি দক্ষতা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ভারতীয় ডাক বিভাগের পরিচয় ঘটাতে এই উদ্যোগ।’’
এ প্রসঙ্গে কান্দুয়া মহাকালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুনাল রায় জানান, ‘‘ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের গুরুত্ব রাখতে হবে এ বিষয়ে। একই সঙ্গে প্রতিটি স্কুলের শিক্ষকদের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখার জন্য প্রতি সপ্তাহে চর্চা করতে হবে। স্কুলেই ছোট করে মাঝেমধ্যেই লেখা উপলক্ষ করে প্রতিযোগিতা করা যেতে পারে।’’