এরকম পরিস্থিতিতে লাভপুরের মাটিতে বামেদের প্রতিবাদ মিছিল ৷ সুজন চক্রবর্তী নেতৃত্বে সোমবার সকালেই শুরু হয় বামেদের বিক্ষোভ মিছিল ৷ দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে লাভপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বাম নেতা-কর্মীরা ৷ ডিএম ও এসপি-কে স্মারকলিপি জমা দেবেন সিপিআইএম নেতারা ৷ মৃতদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করে কথা বলবেন বাম নেতারা ৷
সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করা হোক ৷ লাভপুরে শান্তি ফেরাতে ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসন ৷’
advertisement
অন্যদিকে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত লাভপুরের পরিস্থিতি ৷
লাভপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক তাড়া করছে মীরবাঁধ ও তার আশপাশের গ্রামগুলোতে। শনিবার দাঁড়কা গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় কাটা হাত। বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের জেরা করে মূল অভিযুক্ত শোয়েব ও আহাদুরের খোঁজ চলছে। লাভপুরকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত এই ২ জন ৷ সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদে গা ঢাকা দিতে পারে তারা ৷
বালি খাদানের দখল নিয়েই শোয়েব আলি ও আহাদুর শেখ গোষ্ঠীর লড়াইতেই এই ঘটনা। মীণারুলের বাড়িতে চলছিল বোমা বাঁধা। সেই সময়ই বিস্ফোরণে উড়ে যায় বাড়ির একটি অংশ। বোমা বাঁধার আগে মীরবাঁধ গ্রাম লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে শোয়েবের বাহিনী। লক্ষ্য ছিল আরেক বালি ব্যবসায়ী আহাদুর।
বালিখাদানের দখল নিয়ে আগেও বোমাবাজি হয়েছে গ্রামে
আহাদুর শেখের ম্যানেজারকেও মারধরের অভিযোগ শোয়েব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে
একই গোষ্ঠীর লোকজন বোমা বাঁধছিল কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ
আহাদুরের বালিঘাটের বরাত সংক্রান্ত তথ্য পেতে নথিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে
মীনারুলের বাড়ির যে অংশে বোমা বাঁধা হচ্ছিল, রবিবার সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক টিম ও সিআইডি। দাঁড়কা হাইস্কুল বা অন্য জায়গায় বোমা লুকিয়ে রাখা আছে কিনা, তাও খুঁজে দেখা হবে। তবে শনিবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও থাকছে।