বাম শরিক RSP-র জেলা কমিটির সদস্য তিনি, RSP-র যুব সংগঠন RYF-র রাজ্য কাউন্সিলেরও বর্তমান সদস্য জয়ন্ত পাত্র। মেদিনীপুর শহরের মির্জাবাজার এলাকার বাসিন্দা। বাড়িতে স্ত্রী, ছেলে এবং দাদা-বৌদির সংসার। কলেজ পাসের পর ১৯৯৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ২৮ বছরের রাজনৈতিক জীবন। একসময় অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের RYF-র যুব সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ বাসা বেঁধেছিল কঠিন রোগ, ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল শেফালীকে মনে আছে তো! এখন অবস্থা জানেন?
advertisement
তবে এখন ফুড ডেলিভারি বয়ের কাজ করে জীবন কাটছে। প্রায় ৫৫ বছর বয়সী জয়ন্ত। এই বয়সের জীবনে প্রচুর ওঠা পড়া দেখেছেন তিনি। বাম থেকে তৃণমূল, তার মাঝে উত্থান বিজেপিরও। সবই তাঁর রাজনৈতিক জীবনের মধ্যে ঘটেছে। রাজনৈতিক দল সামলানোর পাশাপাশি করছেন মানুষের জন্য কাজও। তবে এখনও পর্যন্ত না উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ, না চাকরি পাওয়ার অভিযোগ।
৩৪ বছর ক্ষমতা থাকাকালীন পার্টির কাছে আবেদন করেননি চাকরির জন্যেও। দলের প্রচার, দলের কাজে আকৃষ্ট হয়ে যেমন সে রাজনৈতিক ধর্ম পালন করছে তেমনি সংসার চালাতে কাঁধে তুলে নিয়েছেন ফুড ডেলিভারির ব্যাগও। দিন-রাত পরিশ্রম করে প্রতি অর্ডার পিছু সামান্য টাকা অর্জন করেই সংসার চালাচ্ছেন তিনি। যদিও কাজটা তার নতুন নয়। ২০১৯ সাল থেকেই এই কাজ করে আসছেন জয়ন্ত পাত্র। দীর্ঘ covid-এর সময় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়েছে তাঁকে।
যদিও ২০১১ এর পরিবর্তনের পর পার্টি ক্ষমতায় নেই, পার্টির কদর নেই পার্টির ফান্ড নেই,নেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সামান্য সম্বল টুকু। তবুও যৎসামান্য পুঁজি দিয়েই এই অবক্ষয়ের যুগেও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন এই যুবনেতা বর্তমানে RYF-র রাজ্য কাউন্সিলের সদস্য এই ডেলিভারি বয়।
Ranjan Chanda