পরিবারের শিকড়ে রয়েছে নারীকে দেবীরূপে পূজার বিশেষ প্রথা। এই বাড়ির কর্তা প্রথমে নিজের বৌমাকে লক্ষ্মীরূপে পুজো করেছিলেন। সেই সময় নতুন বউকে ঘরে এনে তাঁর হাতে দেওয়া হয়েছিল ধানের কৌটো, শঙ্খ, আলতা এবং প্রদীপ। যেভাবে মা লক্ষ্মীর হাতে পুজোর সামগ্রী থাকে। বরণ করে, শ্রদ্ধা আর সম্মান জানিয়ে বৌমাকে ঘরে আনার সেই প্রথা আজও এই পরিবারের ঐতিহ্য।
advertisement
আরও পড়ুন : মুড়ি ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি চেয়ে পুজো শুরু! ধনদেবীর কৃপায় আজ রাইসমিলের মালিক! দু’ভাইয়ের পুজোর কাহিনী অবাক করবে
সেই পথ অনুসরণ করেই পরবর্তীতে বৌমা, অর্থাৎ বর্তমান গৃহবধূ, নিজের ছোট মেয়েকে লক্ষ্মীরূপে পুজো করেন। সাত বছরের এই কন্যা বর্তমানে স্থানীয় বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। বৌমার কথায়, “আমি যখন এই বাড়িতে বৌ হয়ে আসি, আমার শ্বশুরমশাই আমাকেও মা লক্ষ্মীর রূপে পুজো করেছিলেন। তখন থেকেই মনে হয়েছিল, একদিন আমিও আমার মেয়েকে সেই রূপেই পুজো করব।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শাশুড়িও এই উদ্যোগে অত্যন্ত খুশি। তিনি বলেন, “ব্রাহ্মণরা যেমন প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে দেবীকে পুজো করেন, তেমনই যদি আমাদের মধ্যেই সেই প্রাণ থাকে, তবে পুজো করতে আপত্তি কোথায়!” এই পরিবার বিশ্বাস করে, মানুষের মধ্যেই ভগবান বিরাজমান। তাই নারীর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও ভক্তির মাধ্যমে দেবত্বের প্রকাশ ঘটানো তাঁদের উদ্দেশ্য। এমন সময়ে যখন সমাজের অনেক অংশে নারী এখনও অবহেলিত, সেখানে শান্তিপুরের এই পরিবারের পদক্ষেপ নারীসম্মান ও পারিবারিক ঐক্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।