TRENDING:

Laxmi Puja 2025 : তিন শতাব্দীর প্রথা! কোজাগরীর রাতে একসঙ্গে লক্ষ্মী ও সরস্বতীর পুজো! উৎসবে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম

Last Updated:

Laxmi Puja 2025 : শান্তিনিকেতনের কাছে এই গ্রামে ঘোষ পরিবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন লক্ষ্মী ও সরস্বতীকে একইসঙ্গে পুজো করা হয়। প্রায় ৩০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল পুজো।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরভূম,সৌভিক রায়: ইতিমধ্যেই সপরিবারে বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি পাড়ি দিয়েছেন উমা। তবে দুর্গা পুজোর মরশুম শেষ হলেও এখনও শেষ হয়নি বাঙালির পুজোর আবেগ। আর এই পুজোর আবেগের মধ্যেই সোমবার পালিত হল কোজাগরি লক্ষ্মীপুজো। তবে বীরভূমের এই জায়গাতে হয়ে থাকে একদম ব্যতিক্রমী লক্ষ্মী পুজো। যার কারণ শুনলে আপনি কার্যত অবাক হবেন।
advertisement

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোলপুর শান্তিনিকেতনের কাছে এই গ্রামে ঘোষ পরিবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন লক্ষ্মী ও সরস্বতীকে একইসঙ্গে পুজো করা হয়। রাজা অথবা জমিদার নেই। তাঁদের রাজত্ব আজ প্রায় শেষ। তবে জমিদার প্রথা বা রাজত্ব না থাকলেও তাদের লোকাচার এবং ঐতিহ্য রয়ে গিয়েছে এখনও। শান্তিনিকেতনের তালতোড় জমিদার বাড়ির লক্ষ্মীপুজো তার অন্যতম উদাহরণ। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সময় লক্ষ্মী এবং সরস্বতী দুই দেবীকে একই সঙ্গে বংশ পরম্পরায় পুজো করে আসছেন বীরভূমের তালতোড় গ্রামের ঘোষ পরিবার।

advertisement

আরও পড়ুন : দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের কাহিনীতে সাজানো মণ্ডপে ধনদেবীর আরাধনা! ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ‘শ্রীবৃদ্ধি’ হয়েছে পুজোরও 

ঘোষ পরিবারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, আনুমানিক প্রায় ৩০০ বছর আগে জমিদার লোটন ঘোষের স্ত্রী স্বর্ণময়ী দেবী মা উমার পুজো শুরু করেন। সেই থেকে শুরু হওয়া দুর্গাপুজো এখনও সাড়ম্বর সঙ্গে হয়ে আসছে। সেই দুর্গা মণ্ডপেই সাড়ম্বরে লক্ষ্মী এবং সরস্বতীর পুজো অর্চনা করা হয়। ঐতিহ্যবাহী এই পুজো দেখতে বোলপুর শান্তিনিকেতনের পাশাপাশি ভিড় করেন আশেপাশে গ্রামের বাসিন্দারাও। পরিবারের এক সদস্য শতরূপা ব্যানার্জি জানান প্রত্যেক বছর লক্ষ্মী এবং সরস্বতী দেবীকে লুচি, সুজি, মিষ্টি ,দই, ছানা দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
হাতের কাছে পেলে এখনই কিনে রাখুন দীপাবলির মাটির প্রদীপ! নাহলে পস্তাতে হবে
আরও দেখুন

আগে গোটা গ্রামের বাসিন্দাদের চিরে এবং গুড় দিয়ে প্রসাদ বিতরণ করা হত। তবে এখন সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। লক্ষ্মী পুজোর দিন দুই দেবীকে সোনা এবং রুপো দিয়ে সাজানো হয়। পুজোর দিন বাড়ির কেউ অন্নভোগ গ্রহণ করেন না। পরিবর্তে লুচি ভোগ খান। জমিদারি আমলে যে প্রথা শুরু হয়েছিল, তা এখনও অব্যাহত আছে বলে জানা গিয়েছে। তবে আর্থিক সঙ্গতির কারণে গ্রামবাসীদের ভোগ খাওয়ানোর আয়োজন কিছুটা হলেও কমেছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Laxmi Puja 2025 : তিন শতাব্দীর প্রথা! কোজাগরীর রাতে একসঙ্গে লক্ষ্মী ও সরস্বতীর পুজো! উৎসবে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল