আরও পড়ুন-মেট্রোর পরে এবার গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটবে গাড়ি ! টানেল তৈরি হচ্ছে কলকাতায়
কসাইখানা নির্মাণের অর্থ কেন্দ্রকে ফেরতের নথি মঙ্গলবার আদালতে পেশ করে রাজ্য। কসাইখানা গড়ার কিছু রীতি, পদ্ধতি রয়েছে যা দেশজুড়ে প্রযোজ্য। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিজ্ঞানসম্মত কসাইখানা তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকায় পুরো আইন মেনে কসাইখানা তৈরির রীতি। কসাইখানায় পশু চিকিৎসক থাকাও আবশ্যিক।
advertisement
এই বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে ওই কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার নির্দেশিকায়। রাস্তার ধারে বিভিন্ন কসাইখানা যাতে না হয় সেই জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার এই পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কেন্দ্রের এই পরিকল্পনা অনুযায়ী কসাইখানার পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করবে কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রক। ইতিমধ্যে সেই অর্থ নির্দিষ্ট পুরসভা গুলোকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কেন্দ্রের এই পরিকল্পনা অনুযায়ী নবদ্বীপ একটি কসাইখানা তৈরি সিদ্ধান্ত প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন-গরম ভাতের পাতে অল্প মাখন হলেই জমে যায় খাওয়াদাওয়া! কিন্তু রোজ খাওয়া কি নিরাপদ?
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ২০১৭ সালে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন ভক্তি সাধন তাপার মহারাজ। আবেদনকারীর হাইকোর্টে জানান নবদ্বীপ মহাপ্রভুর জন্মস্থান। মহাপ্রভু আবেগ নবদ্বীপের আনাচে কানাচে। সারা বিশ্বের মানুষ আসেন মহাপ্রভুর টানে নবদ্বীপে। সেইখানে কসাইখানা তৈরি সঠিক পদক্ষেপ নয়। আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য সরকারের আইনজীবী তপন মুখোপাধ্যায় আদালতকে জানান রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবদ্বীপে কোনওভাবেই কসাইখানা তৈরি করা হবে না।
ইতিমধ্যে নবদ্বীপ পুরসভা থেকে কসাইখানার জন্য বরাদ্দ অর্থ কেন্দ্রকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আদালতে উপস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীও রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেনি। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়ে মামলার নিষ্পত্তি ঘোষণা করে দেয় এদিন। সরকারি আইনজীবী সোমনাথ নস্কর জানান, কসাইখানাটি হচ্ছে না এবং মামলাকারীও অনুপস্থিত ছিলেন এদিন তাই মামলাটি খারিজ হয়েছে।