#শক্তিগড়: লকডাউনের জেরে সার দিয়ে দোকানের সাটার বন্ধ। খোলার অনুমতি রয়েছে। রয়েছে বিক্রির ছাড়পত্রও। তবুও ক্রেতার অভাবে দোকান খুলতে পারছেন না শক্তিগড়ের ল্যাংচা ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এই লকডাউন আরও কতদিন চলবে তারও কোনও ঠিক নেই। তাই ল্যাংচার হোম ডেলিভারির কথা ভাবছেন তাঁরা। মিষ্টি গাড়িতে চাপিয়ে বর্ধমান শহরের অলিগলিতে বিক্রির কথাও ভাবছেন তাঁরা। এ জন্য জেলা প্রশাসনের অনুমতি চাইবেন বলে জানিয়েছেন শক্তিগড়ের ল্যাংচা ব্যবসায়ীরা।
advertisement
মিষ্টির দোকান খোলার শর্ত সাপেক্ষে ছাড় মিলেছে অনেক আগেই। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী বেলা বারোটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন। শুক্রবার থেকে সেই সময়সীমা আরও চার ঘন্টা বাড়ানো হয়েছে। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলা রাখা যাচ্ছে। কিন্তু শক্তিগড়ের ল্যাংচার সমস্যাটা অন্য।শক্তিগড়ের ল্যাংচা বিক্রি জাতীয় সড়কে গাড়ি চলাচলের ওপর নির্ভরশীল। জাতীয় সড়কে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ল্যাংচা কেনেন ক্রেতারা।
দু’নম্বর জাতীয় সড়কের দু’ধারে সার দিয়ে সব ল্যাংচার দোকান। বিক্রেতারা বলছেন, ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে ল্যাংচার দোকান। মাঝরাত, ভর দুপুর সব সময় ল্যাংচা বিক্রি হয়। দূরপাল্লার বাস দাঁড়ায়। অনেকে একটানা গাড়ি চালানোর এক ঘেয়েমি কাটাতে বিশ্রাম নেন। জলযোগ করে ল্যাংচা পরিবার পরিজনদের জন্য ল্যাংচা কিনে আবার রওনা দেন। সেই চেনা ছন্দটাই এখন উধাও শক্তিগড়ে।
লক ডাউন শুরু হতেই শুনশান জাতীয় সড়ক। বাস, চার চাকা চলাচল সব বন্ধ। তাই অনুমতি থাকলেও ঝাঁপ বন্ধ শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানের। তাই এবার বর্ধমান মেমারি ও তার আশপাশ এলাকায় ল্যাংচার হোম ডেলিভারির কথা ভাবছেন শক্তিগড়ের ল্যাংচা বিক্রেতারা। সেই সঙ্গে তাঁরা বলছেন, প্রশাসনের অনুমতি মিললে আমরা গাড়িতে ল্যাংচা বোঝাই করে বর্ধমানের পাড়ায় পাড়ায় বিক্রি করব।