দ্বারকেশ্বর নদী, বছর অন্যান্য সময় খরস্রোতা এই নদী বর্ষায় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। বর্ষায় ফুলে ফেঁপে উঠে দ্বারকেশ্বর নদীর জল। আর সেই নদীর ভয়ঙ্কর রূপ গ্রাস করে করে নদের পাড় থাকা গ্রামের দিকে ধেয়ে আসে। আর তাতেই আতঙ্ক প্রহর গুণে ওন্দার ভাদুল গ্রামের মেটেপাড়ার বাসিন্দারা। এই ভয়াবহ অবস্থা কথা বারে বারে প্রকাশিত হয়েছে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এলাকার আতঙ্কিক মানুষজন বারে বারে দিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের আবেদন নিবেদন।
advertisement
আরও পড়ুনFox Bite Terror: বাড়ি বাড়ি ঢুকে বসিয়ে যাচ্ছে ধারাল দাঁতের কামড়! জখম পাঁচ, আতঙ্কে বাসিন্দারা
গ্রামের মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে অবশেষে প্রশাসনিক উদ্যোগে নদীর ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়েছে সম্প্রতিকালে। কিন্তু কাজ শুরু হতেই কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন গ্রামের মানুষজনই। বালির বস্তা দিয়ে নদের ভাঙন আটকানো সম্ভব নয়, বছর ভর টিকবে না এই কাজ। ফি বছর আবার আতঙ্ক গ্রাস করবে গ্রামের বাসিন্দাদের। স্বায়ী সমাধান না করা হলে গ্রামের মানুষের আতঙ্ক থেকেই যাবে দাবি গ্রামবাসীদের। ভরা বর্ষায় যেভাবে ভয়াল রূপ নিয়ে ধেয়ে আসে দ্বারকেশ্বর নদের জল তাতে এই বালির বস্তা দিয়ে বাধানো অংশ ভেঙে যাবে অচিরেই। তাই অস্থায়ী ভাবে নয় স্থায়ী ভাবে নদের ভাঙন রোধের কাজ করা হোক।
এর পাশাপাশি নদের মাঝের যে বালির চর রয়েছে সেই চর না সরালে স্রোতের বেগ আরও বেশী করে ক্ষতি করবে গ্রামের পাড়। তাই দ্রুত সেই কাজও করার দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। কাজ খতিয়ে দেখতে এলাকায় যান সেচ দফতর, জেলা পরিষদ ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। জেলা সেচ ও কৃষি কর্মাধ্যক্ষর দাবি সামনে বর্ষা এই কাজের মাধ্যকে কিছুটা ভাঙন রোধ করা যাবে৷ তবে এলাকার মানুষ সংশ্লিষ্ট দফতর ও আধিকারিকের দেওয়া আস্বাসে কোনভাবেই আত্মস্থ নন। তাদের দাবি কংক্রিটের স্থায়ী পাড় এর পাশাপাশি নদীর চরকে সরাতে হবে। তবেই বাঁচবে গ্রাম, বাঁচবে গ্রামবাসী।
প্রিয়ব্রত গোস্বামী